তারেককে ফিরিয়ে এনে আদালতের সাজা কার্যকর করব: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: বাসস থেকে নেওয়া

তারেক জিয়াকে লন্ডন থেকে ফিরিয়ে এনে আদালতের রায় বাস্তবায়নে দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, 'এখন একটাই কাজ, ওই কুলাঙ্গারটাকে ফেরত নিয়ে আসা। ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, গ্রেনেড হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন তারেক জিয়া যেখানেই থাক, আমরা তাকে ফিরিয়ে আনব।'

তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি, ওই সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তারেক জিয়াকে যেন বাংলাদেশে ফেরত দেয়। আমরা তাকে নিয়ে এসে সাজা কার্যকর করব।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা রোববার তার সরকারি বাসভবন গণভবনে গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, এ দেশের মানুষ জঙ্গিবাদ ও অগ্নিসন্ত্রাসীদের আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। ওই কুলাঙ্গারটার সাজা কার্যকর করতে পারলে এ দেশের মানুষ জঙ্গিবাদ ও অগ্নিসন্ত্রাসীদের হাত থেকে মুক্তি পাবে। তারা ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে যে অগ্নিসন্ত্রাস ও জ্বালাও-পোড়াও করেছে, তা থেকে মানুষ মুক্তি পাবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক আর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি যারা বিদেশে পলাতক রয়েছেন, তাদেরকেও ফিরিয়ে এনে সাজা তাদের শাস্তি কার্যকর করা হবে।

'দেশের মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি অর্থনৈতিক মুক্তি ও দেশের অগ্রগতি অব্যাহত রাখাই আমার লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা সেভাবে কাজ করছি', প্রধানমন্ত্রী বলেন।

নিজ নির্বাচনী এলাকার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের শেখ হাসিনা বলেন, যারা মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে, তাদেরকে দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে। সেই দায়িত্বটাও আমার নির্বাচনী এলাকা কোটালীপাড়া টুঙ্গিপাড়ার মানুষকে নিতে হবে। যে যেখানে আছে এটা সবার কাছে প্রচার করতে হবে। এটা খুবই দরকার।

Comments

The Daily Star  | English
future of bangladesh after banning awami league

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

15h ago