আর স্বপ্ন কিংবা প্রতিশ্রুতি নয়, জনগণ বাস্তবায়ন দেখতে চায়: তারেক রহমান

তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনগণের জীবন উন্নয়ন করাই বিএনপির আগামী দিনের রাজনীতি বলে জানিয়েছেন দলটির চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

আজ সোমবার বিকেলে জাতীয়তাবাদী যুবদলের এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তারেক বলেন, ''কথার রাজনীতি মানুষ আর চায় না। পরিষ্কারভাবে একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি যেমন বুঝি, এখানে প্রতিটি মানুষ অনুধাবন করেন বাংলাদেশের জনগণ পরিবর্তন চায় এখন। আর স্বপ্ন কিংবা প্রতিশ্রুতি নয়, জনগণ এবার প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চায়।'

তিনি বলেন, 'বিএনপি জনগণের সেই আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আগামী দিনের রাজনৈতিক কর্মসূচি প্রণয়ন করছে। আমাদের নেতাকর্মী, আমাদের দলের ভেতরে দলের বাইরে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ যারা আছেন তাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করছি, কাজ করছি।'

'আমাদের আগামী দিনের নীতি জনগণের জীবন উন্নয়নের রাজনীতি। দেশে-বিদেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করাই হবে আমাদের রাজনীতির অন্যতম মূল লক্ষ্য,' বলেন তিনি।

তারেক রহমান আরও বলেন, 'আমরা মনে করি জনগণই বিএনপির সকল রাজনৈতিক ক্ষমতার উৎস। জনগণের রায়ে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে আমরা যত দ্রুত সম্ভব আমাদের পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নের কাজ শুরু করব।'

'তবে সারাদেশে জনগণের কাছে বিএনপির পরিকল্পনাগুলো পৌঁছে দিতে হবে। আমাদের এই পরিকল্পনাগুলো জনগণের সামনে নিয়ে যাবেন। কারণ জনগণের রায় আমাদের প্রয়োজন, জনগণের সমর্থন আমাদের প্রয়োজন মানুষের জন্য নেওয়া এই কর্মসূচিগুলো বাস্তবায়নের জন্য,' যোগ করেন তিনি।

তারেক রহমান তার দীর্ঘ বক্তব্যে যুব সমাজের কর্মসংস্থানে কী করণীয়, তার একটি বিস্তারিত পরিস্কল্পনার পাশাপাশি স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য-প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নের কথাও বলেন।

যুবদলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, 'বিগত দেড় দশকের ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে যুবদলের নেতাকর্মীরা নির্যাতন, নিপীড়ন উপেক্ষা করেও রাজপথে আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন, আন্দোলন করতে গিয়ে ফ্যাসিবাদী সরকারের শত নির্যাতনে, নিপীড়নেও যুবদল পিছিয়ে যায়নি রাজপথ ছেড়ে যায়নি। শুধুমাত্র জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে যুবদলের ৭৮ নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন।'

তিনি আরও বলেন, 'জনগণ আপনাদের সঙ্গে ছিল, আপনাদের প্রতি জনগণের বিশ্বাস ছিল। এ কারণেই আপনারা সাহসের সঙ্গে প্রতিবাদ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পেরেছেন। আপনাদের প্রতি জনগণের সেই আস্থা ও বিশ্বাস ধরে রাখুন। মনে রাখবেন জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারলে আপনি নেতা, জনগণ প্রত্যাখ্যান করলে আপনি নেতা নন।'

Comments

The Daily Star  | English

Rohingya influx: 8 years on, repatriation still elusive

Since the repatriation deal was signed with Myanmar in November 2017, Bangladesh tried but failed to send Rohingyas back.

8h ago