মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের স্পিডবোট লক্ষ্য করে ফের গুলি, সেন্টমার্টিনে খাদ্য সংকট

টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে চলাচলকারী পর্যটকবাহী জাহাজ। স্টার ফাইল ছবি

আজ মঙ্গলবার সকালে আবারো বাংলাদেশি স্পিডবোট লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে গুলি চালানো হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সেন্টমার্টিনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকার পর এই ঘটনা ঘটল। এর ফলে সেন্টমার্টিনে তীব্র খাদ্য সংকট তৈরি হয়েছে।

এই রুটের ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদ বলেন, 'আজ সকালে টেকনাফ থেকে খাবার ও যাত্রী নিয়ে দুটি ট্রলার পাঠানোর চেষ্টা করা হয়। এই দুটি নৌকার আগে একটি স্পিডবোট সেন্টমার্টিনে পাঠানো হয়। স্পিডবোটটি নাফ নদীর মোহনায় পৌঁছালে মিয়ানমারের একটি ট্রলার থেকে গুলি চালানো হয়।'

স্পিডবোট চালকের বরাতে তিনি বলেন, 'ট্রলার থেকে প্রায় আট-দশ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। তবে স্পিডবোটের কোনো ক্ষতি হয়নি।'

মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) নাকি বিদ্রোহী আরাকান আর্মি গুলি চালিয়েছে তা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি। এই ঘটনার পর টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনের উভয় দিক থেকে দুটি করে ট্রলার ফেরত পাঠানো হয়।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার এই রুটে চলাচলকারী একাধিক ট্রলার লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে গুলি চালানো হয়। এর পর থেকে সেন্টমার্টিনের পথে কোনো নৌযান ছেড়ে যায়নি। নাফ নদীর মোহনায় এই ঘটনাগুলো ঘটছে। টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে চলাচলে এই নৌপথ ব্যবহার করা হয়। সমুদ্রের মধ্যে দিয়ে আরেকটি রুট থাকলেও বিপজ্জনক বিবেচনায় তা এড়িয়ে চলেন নৌযান মালিকরা।

টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন দ্বীপের মধ্যে দুই দিক থেকেই প্রতিদিন তিনটি ট্রলার মালামাল ও যাত্রী পরিবহন করে। দ্বীপে বসবাসকারী প্রায় ১০ হাজার মানুষ খাবার, জ্বালানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জন্য এই ট্রলারগুলোর ওপর নির্ভরশীল।

প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ট্রলার চলাচল বন্ধ থাকায় সেন্টমার্টিনে খাবার সংকট তৈরি হয়েছে। এ ব্যাপারে সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, টানা ছয় দিন নৌ চলাচল বন্ধ থাকায় দ্বীপে খাদ্য সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। আজ-কালের মধ্যে ট্রলার চলাচল স্বাভাবিক না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।

তিনি বলেন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে বিকল্প পথ ব্যবহার করে কক্সবাজার থেকে সি ট্রাকে খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাঠাতে অনুরোধ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইয়ামিন হোসেন বলেন, গোলাগুলির ঘটনার কারণে আমরা বিকল্প পথে সেন্টমার্টিনে খাবার পাঠানোর কথা ভাবছি।

আরাকান আর্মি নাকি বিজিপি বাংলাদেশি নৌকা লক্ষ্য করে গুলি করছে তা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Fakhrul urges EC to work swiftly for fair, acceptable election

Prof Yunus deserves thanks for instructions over polls preparations

1h ago