ফেরত পাঠানো হলো বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ৩৪ সেনা ও সীমান্তরক্ষীকে

একটি বিশেষ ফ্লাইটে তাদের মিয়ানমার পাঠানো হয়। ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ৪০ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

তাদের মধ্যে ৩৪ জন দেশটির সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্য বলে জানা গেছে।

আজ বুধবার বিকেলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কক্সবাজার জোনের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এমএম ইমরুল হাসান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে একটি বিশেষ ফ্লাইটে তাদের মিয়ানমারে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, বিজিপির ২১ জন ও সেনাবাহিনীর ১৩ সদস্য গত ১৭ ডিসেম্বর থেকে ১১ জানুয়ারির মধ্যে টেকনাফের দমদমিয়া, নাজিরপাড়া ও শাহপরীর দ্বীপ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে।

কক্সবাজারে বিজিবির হেফাজতে তাদের রাখা হয়েছিল।

বিজিবি কমান্ডার জানান, এই ৩৪ জন এবং আরও ৬ বেসামরিক নাগরিককে মিয়ানমার ফেরত পাঠানো হয়েছে।

জানতে চাইলে কক্সবাজার বিমানবন্দরের পরিচালক মো. গোলাম মুর্তজা হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মিয়ানমার থেকে আসা একটি বিশেষ উড়োজাহাজ দুপুর দেড়টার দিকে কক্সবাজারে অবতরণ করে। কক্সবাজার বিমানবন্দরে যেহেতু আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করা হয় না, তাই ইমিগ্রেশনসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা বিশেষ ব্যবস্থায় সম্পন্ন করা হয়।'

উড়োজাহাজটি বিকেল ৩টায় কক্সবাজার ত্যাগ করে বলে তিনি জানান।

এর আগে সকাল সোয়া ১১টার দিকে মিয়ানমারের সেনা ও বিজিপির ৩৪ সদস্যকে বিজিবি ও পুলিশের কঠোর নিরাপত্তায় বাসে করে বিমানবন্দরে আনা হয়। আর পৌনে ১২টার দিকে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে ৬ মিয়ানমারের নাগরিককে আনা হয়।

এরপর বিমানবন্দরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয় এবং পরিচয় যাচাইসহ ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

এর আগেও মিয়ানমারের জান্তা সরকার সমুদ্রপথে চার দফায় মোট ৮৭৬ জন নাগরিককে ফেরত নিয়ে গেছে।

অন্যদিকে, মিয়ানমারে সাজা ভোগের পর ২১৪ বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরে এসেছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

5h ago