বাড়ছে তিস্তার পানি, শঙ্কায় নদী তীরবর্তী পরিবার

বাড়ছে তিস্তার পানি, শঙ্কায় নদী তীরবর্তী পরিবার
ছবি: এস দিলীপ রায়/স্টার

তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পাহাড়ি ঢলে পানি বেড়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হওয়ায় শঙ্কায় রয়েছেন নদী তীরবর্তী মানুষ।

আজ শনিবার সকাল ৬টায় কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ছিল বিপৎসীমার মাত্র তিন সেন্টিমিটার নিচে। ডালিয়া পয়েন্টেও মাত্র তিন সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন, গতকাল বিকেল ৩টায় কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ছিল বিপৎসীমার ২৮ দশমিক ৬৩ সেন্টিমিটার নিচে। গতকাল দুপুর ১২টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ছিল বিপৎসীমার ২৮ দশমিক ৪৬ সেন্টিমিটার নিচে।

কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনছার আলী জানান, 'গতকাল ভোর থেকে তিস্তার পানি হু হু করে বাড়ছে। বর্ষার আগে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।'

তিনি আরও বলেন, 'এ সময় বন্যা হলে নদীপাড়ের মানুষেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। নদী তীরবর্তী আবাদি জমিগুলো তলিয়ে গেলে বাদাম ও শাক-সবজির ক্ষতি হবে।'

কাউনিয়ার চরগনাই গ্রামের বাসিন্দা আফতার আলী আশঙ্কা প্রকাশ করেন, যে কোনো সময় বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করতে পারে।

'ঈদের আগত বন্যা হইলে খুব বিপদে পড়ি যামো,' দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন তিনি।

একই এলাকার বাসিন্দা জয়নাল বলেন, পানি আরও বেড়ে গেলে গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়তে হবে।

রবিউল বলেন, 'এখন পর্যন্ত বন্যার কোনো আভাস পাওয়া যায়নি। ভারতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়লে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে আমাদের এখানে নদীর পানি আরও বাড়তে পারে।'

কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মহিদুল হক বলেন, 'কেউ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে জন্য সব ধরনের আগাম প্রস্তুতি নেওয়া আছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সব সময় নদীপাড়ের পরিস্থিতির খোঁজখবর রাখতে বলা হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Jatiyo Party's office set on fire in Khulna

Protesters vandalised the Jatiyo Party office in Khulna's Dakbangla area last evening

1h ago