কোটা আন্দোলন: কাল বিকেলে আবারও ‘বাংলা ব্লকেড’

রাবি শিক্ষার্থীরা আগামীকাল রেলপথ অবরোধ করার ঘোষণা দিয়েছে।
রোববার বিকেলে শাহবাগ মোড়ে কোটা বাতিলের দাবিতে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। ছবি: পলাশ খান/স্টার

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালের প্রতিবাদে আগামীকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সড়ক অবরোধ করা হবে।

'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন' ব্যানারে আজ রোববার বিকেলে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে চাকরিপ্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা।

বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত রাজধানী ঢাকার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনের এ পর্যায়টিকে 'বাংলা ব্লকেড' বলে উল্লেখ করছেন তারা।

আজ সন্ধ্যায় আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম বলেন, 'সারাদেশে আগামীকাল বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ব্লকেড চলবে।'

তিনি বলেন, 'আমাদের ধর্মঘট অনির্দিষ্ট সময়ের জন্যে চলমান থাকবে। আমাদের ব্লকেড কর্মসূচি সারাদেশে আর বিভিন্ন পয়েন্টে চলবে। আমরা আজকে শাহবাগ থেকে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত ব্লকেড করেছি। আগামীকালকের ব্লকেড ফার্মগেট অতিক্রম করবে।'

'আগামী দিনে এ ব্লকেড কর্মসূচি আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে যাবে। আমরা আন্দোলন করে পুরো জাতির দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পেরেছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রীও এ বিষয়ে কথা বলেছেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নিজেই সংসদে দাঁড়িয়ে কোটা বাতিলের পক্ষে রায় দিয়েছিলেন। আমরা আশাবাদী এবারও তিনি শিক্ষার্থীদের পক্ষে যে জনমত তার পক্ষেই কোটার সুরাহা আমাদের দেবেন,' যোগ করেন তিনি।

নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, '২০১৮ সালে কোটা বাতিল করে আবার ৬ বছর পরে কোটা ফিরে আসছে। শিক্ষার্থীদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আমরা দাবি আদায় করেই ঘরে এবং ক্লাসে ফিরব। হয় এই আন্দোলন থেকে কোটা নিরসন হবে, নইলে এটা কোটাধারীদের দেশ ঘোষণা করতে হবে।'

ঢাকা ছাড়াও সাভারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে।

বাংলা ব্লকেডের অংশ হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা আগামীকাল রেলপথ অবরোধ করার ঘোষণা দিয়েছে।

রাবির কোটা বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক আমান উল্লাহ খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা আগামীকাল থেকে সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন ঘোষণা করছি এবং আগামীকাল থেকে রেলপথ অবরোধ করা হবে।' 

 

Comments

The Daily Star  | English

Post-August 5 politics: BNP, Jamaat drifting apart

The taunts and barbs leave little room for doubt that the 33-year-old ties have soured. Since the fall of Sheikh Hasina’s government on August 5, BNP and Jamaat-e-Islami leaders have differed in private and in public on various issues, including reforms and election timeframe.

6h ago