রাজনৈতিক-প্রশাসনিক ক্ষমতা দেখাইয়া লাভ নাই, এগুলো তোয়াক্কা করি না: নিক্সন চৌধুরী

‘কারও রক্তচক্ষুকে ভয় পাই না, আমাকে চোখ রাঙানোর ক্ষমতা কারও নাই।’
সভায় নিক্সন চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী বলেছেন, সদরপুর উপজেলায় আমাকে রাজনৈতিক কিংবা প্রশাসনিক ক্ষমতা দেখাইয়া লাভ নাই। কেননা আমি এগুলো তোয়াক্কা করি না।

রোববার দুপুরে সদরপুর উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের শপথ গ্রহণের পর উপজেলা পরিষদের প্রথম সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

নিক্সন চৌধুরী বলেন, নির্বাচনের আগে আপনাদের মধ্যে রেষারেষি থাকতে পারে। তা ভুলে যেতে হবে। সবাইকে একসঙ্গে জনগণের জন্য কাজ করতে হবে। নির্বাচন শেষ, এখন একসঙ্গে কাজ করতে হবে। নিজেরা রেষারেষি করলে আগামীতে কাজ করার সুযোগ পাবেন না।

তিনি বলেন, সদরপুর উপজেলায় রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা দেখাইয়া লাভ নাই। আমি এর তোয়াক্কা করি না। কারও রক্তচক্ষুকে ভয় পাই না। আমাকে চোখ রাঙানোর ক্ষমতা কারও নাই।

এই সংসদ সদস্য আরও বলেন, জনগণ আপনাদের বিশ্বাস করে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে যে দায়িত্ব দিয়েছে, সেই দায়িত্ব ঈমানের সঙ্গে পালন করবেন। সদরপুরের মানুষ মনে যাতে কষ্ট না পায়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। তাই সকল ভেদাভেদ ভুলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যেতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নপূরণ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যার স্বপ্নপূরণে কাজ করে যেতে পারলে সদরপুর হবে একটি মডেল উপজেলা।

নিক্সন চৌধুরী বলেন, নির্বাচনের পর থেকে সবার কাজে একটা ধীরগতি দেখছি। কাজের ক্ষেত্রে কোনো ধীরগতি সহ্য করা হবে না। কৃষ্ণপুর বাজারে মূল ইজারাদারের বাইরে কেউ খাজনা তুলতে পারবে না। এ উপজেলার যে চারটি ইউনিয়ন ভাঙনকবলিত, তা রোধে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় এজন্য অনতিবিলম্বে পানিসম্পদ মন্ত্রীকে এলাকায় এনে সমাধানের পথ বের করা হবে।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ মোরাদ আলী, সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবানা তানজিন, ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তামান্না পারভীন প্রমুখ।

Comments