সীমান্ত থেকে ১০ মাইল পর্যন্ত ‘বিজিবির সম্পত্তি’ ঘোষণার পরামর্শ হাইকোর্টের

পরামর্শের মধ্যে আরও রয়েছে সীমান্তরেখা থেকে আট কিলোমিটার ভূমি সম্পূর্ণ ফাঁকা ও সমান রাখা, যেন এই আট কিলোমিটারের প্রতিটি ইঞ্চি দূর থেকে পরিস্কার দেখা যায়।
স্টার ফাইল ফটো

'বাংলাদেশের সীমান্ত নিরাপত্তা কার্ডকারীভাবে রক্ষা ও আন্তঃরাষ্ট্র সীমান্ত অপরাধ শুন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে এবং জাতীয় রাজস্ব আয় ফাঁকি প্রতিরোধ করতে' পূর্ণাঙ্গ রায়ে জাতীয় সংসদকে চারটি পরামর্শ দিয়েছে হাইকোর্ট। এর মধ্যে রয়েছে, সীমান্তরেখা থেকে ১০ মাইল পর্যন্ত বিজিবির সম্পত্তি ঘোষণা এবং সীমান্তরেখা থেকে ৮ কিলোমিটার পর্যন্ত ভূমি সম্পূর্ণ খালি ও সমতল রাখা।

গত বছরের ৩ আগস্ট বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। এর সম্পূর্ণ রায় ১১ জুলাই প্রকাশিত হয়।

রায়ে ১৯৮৭ সালে যশোর সীমান্তে ভারতীয় শাড়ি উদ্ধারের ঘটনায় বিজিবির দায়ের করা মামলায় সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালতের দেওয়া তিন বছরের কারাদণ্ড থেকে জাকির হোসেনকে খালাস দেন আদালত।

রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি অনুযায়ী আদালত সংসদকে যে চারটি পরামর্শ দিয়েছেন সেগুলো হলো—

১. সীমান্তরেখা থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ১০ মাইল পর্যন্ত সীমান্ত এলাকা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সম্পত্তি ঘোষণা করা।

২. উক্ত ঘোষণার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত সব ব্যক্তিগত সম্পত্তির মালিকদের ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করে সমমূল্যের সরকারি খাস জমি থেকে তাদের বরাদ্দ দেওয়া।

৩. সীমান্তরেখা থেকে আট কিলোমিটার ভূমি সম্পূর্ণ ফাঁকা ও সমান রাখা, যেন এই আট কিলোমিটারের প্রতিটি ইঞ্চি দূর থেকে পরিস্কার দেখা যায়।

৪. সীমান্তরেখা থেকে ৮-১০ কিলোমিটার মধ্যবর্তী স্থান বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের স্থাপনা ও প্রশিক্ষণসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ডের জন্য রাখা।

নিম্ন আদালতের বিচারক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং সংসদ সদস্যদের কাছে ই-মেইলের মাধ্যমে রায় ও আদেশের অনুলিপি পাঠানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

Comments