জাবি উপাচার্যকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা ‘নিপীড়নবিরোধী শিক্ষক সমাজের’

'নিপীড়নবিরোধী শিক্ষক সমাজের’ ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকরা।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকরা। ছবি: সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শিক্ষার্থীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ছাত্রলীগ ও বহিরাগতদের হামলাসহ উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমসহ প্রশাসনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন শিক্ষকরা।

আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে 'নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষক সমাজের' ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার তিন দফা লিখিত দাবি উপস্থাপন করেন।

তাদের দাবিগুলো হলো ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খুলে দিয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে এবং হলগুলোকে মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থী মুক্ত করতে হবে, উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম, সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মঞ্জুরুল হক, ট্রেজারার অধ্যাপক রাশেদা আখতার, প্রক্টর অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমগীর কবিরকে পদত্যাগ করতে হবে। ১৫ জুলাই রাতে বহিরাগত ও ছাত্রলীগ কর্মীরা যারা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আঘাত করেছে তাদের বিচার করতে হবে।

আন্দোলনকারীদের ওপর হামলায় প্রশাসন প্রত্যক্ষ মদদদাতা উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে মাফরুহী সাত্তার বলেন, 'কোটা সংস্কার আন্দোলনে সারাদেশের মতো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গত ১৫ জুলাই শান্তিপূর্ণ মিছিলে ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠন বিনা উসকানিতে হামলা করে। এর প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনে বিচারের দাবিতে অবস্থান নেন। আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করেছি, প্রক্টর, উপাচার্যসহ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের ইন্ধনে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এতে শিক্ষকসহ অনেক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন।'

Comments