‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করতে একটি গোষ্ঠী সংখ্যালঘু নির্যাতন করছে’

বলছে বাংলাদেশ সনাতন পার্টি।
বাংলাদেশ সনাতন পার্টির আলোচনা সভা। ছবি: সংগৃহীত

সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধ ও সুরক্ষা আইন প্রণয়নসহ নয় দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে তা বাস্তবায়নের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সনাতন পার্টি (বিএসপি)।

বিএসপি বলছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করতে একটি গোষ্ঠী সংখ্যালঘু নির্যাতন করছে।

আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে 'সারা দেশে সাম্প্রদায়িক হামলা, দোকানপাট ও বাড়িঘর লুট, মঠ-মন্দিরে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ বন্ধে রাজনীতিক ও সুশীল সমাজের ভূমিকা' শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ কথা বলা হয়।

আলোচনা সভায় সনাতন পার্টির সাধারণ সম্পাদক সুমন কুমার রায় বলেন, দেশ আজ নরকে পরিপূর্ণ হয়েছে। কোনো মানুষের নিরাপত্তা নেই। এই অরাজকতা বন্ধ করে একটি বৈষম্যমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক, সুখী, সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন বন্ধে এগিয়ে আসতে হবে।

সুমন কুমার রায় আরও বলেন, নির্যাতন করে সংখ্যালঘুদের এই দেশ থেকে বিতাড়িত করা যাবে না। দেশ কারও বাপের না যে সংখ্যালঘুরা ভয়ে দেশ ছেড়ে চলে যাবে।

সদ্যগঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের সব উপদেষ্টাদের শুভেচ্ছা জানিয়ে সভায় সনাতন পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনুপ কুমার দত্ত বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করার জন্য একটি গোষ্ঠী সংখ্যালঘু নির্যাতন করছে। অনতিবিলম্বে তাদের শক্ত হাতে দমন করতে হবে।

আলোচনা সভায় বক্তারা অবিলম্বে এসব সাম্প্রদায়িক হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানান।

সনাতন পার্টির অন্য দাবিগুলোর মধ্যে আছে—বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের একজন সদস্যকে যোগ্যতা অনুসারে সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করা ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া, ২০০১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সব সংখ্যালঘু নির্যাতনের পুনঃতদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা, স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন ও দায়িত্ব পালনকালে নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণসহ একজনকে যোগ্যতা অনুসারে সরকারি চাকরি দেওয়া, অর্পিত সম্পত্তি আইন বাতিল করে প্রকৃত মালিকদের কাছে সম্পত্তি হস্তান্তর, বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যাওয়া, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বন্ধে স্থায়ী সমাধান খোঁজা এবং রাষ্ট্রীয় পদ্ধতির সংস্কার করে একটি বৈষম্যমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক কল্যাণ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা করা।

আলোচনা সভার শুরুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সবার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English
Tofazzal beaten to death at DU

Man beaten to death in DU hall

He was suspected to have stolen students' mobile phones

1h ago