বিচারপতি মানিকের শারীরিক অবস্থা ‘স্থিতিশীল’

বিজিবির হাতে আটককালে এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

গত শুক্রবার সিলেট সীমান্তে আটক হওয়ার আগে দালালদের হাতে এবং শনিবার বিকেলে সিলেটের আদালত প্রাঙ্গণে উত্তেজিত জনতার মারধরের শিকার হয়েছিলেন মানিক।

শনিবার রাতে সিলেট কারাগার থেকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে তার গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত অণ্ডকোষে জরুরি অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর থেকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে তাকে।

হাসপাতালে ভর্তি পর তার উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. শিশির চক্রবর্ত্তীকে সভাপতি করে আট সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। বোর্ডে রেডিওলজি বিভাগের প্রধান, অ্যান্ড্রোক্রাইনোলজি বিভাগের প্রধান, কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান সার্জারি বিভাগের প্রধান, অ্যানেস্থেসিয়া বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক, ইউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও প্যাথলজি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ ক্লিনিক্যাল প্যাথলজিস্ট রয়েছেন।

আজ সোমবার সকালে অধ্যাপক ডা. শিশির চক্রবর্ত্তী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'তার শারীরিক অবস্থা এখন অনেকটা স্থিতিশীল রয়েছে। মারধরের অন্যান্য আঘাত তেমন গুরুতর না হলেও তার স্কোটাল ইনজুরি (অণ্ডকোষে আঘাত) গুরুতর ছিল। অস্ত্রোপচার শেষে এখন আশা করা যাচ্ছে দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে। তার অন্যান্য শারিরীক সমস্যা যেমন হার্টে আগের বাইপাস সার্জারি, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস এখন নিয়ন্ত্রণে আছে।'

ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, 'সাবেক বিচারপতি হিসেবে ডিভিশনপ্রাপ্ত হওয়ায় তাকে প্রিজন সেলে না রেখে আলাদা কেবিনে রাখা হয়েছে। অবস্থার উন্নতি হলে তাকে আবার কারাগারে পাঠানো হবে।'

 

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

10h ago