কুলাউড়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি কিশোরী নিহত, আহত ২

border killing logo
প্রতীকী ছবি। স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে ১৬ বছরের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। বর্তমানে তার মরদেহ বিএসএফের হেফাজতে রয়েছে।

রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে। তবে বিষয়টি আজ মঙ্গলবার দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষণ রায়।

পুলিশ জানায়, নিহত স্বর্ণা দাস পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের কালনিগড় গ্রামের পরেন্দ্র দাসের মেয়ে। সে নিরোদ বিহারী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

নিহত স্বর্ণার বাবা পরেন্দ্র দাস ডেইলি স্টারকে বলেন, 'স্বর্ণা ও তার মা সঞ্জিতা রানী দাস ত্রিপুরায় বসবাসরত স্বর্ণার বড় ভাইকে দেখতে লালারচক সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। তাদের সহযোগিতা করেন স্থানীয় দুই দালাল। তাদের সঙ্গে ছিলেন চট্টগ্রামের এক দম্পতি।'

'রাত ৯টার দিকে তারা ভারতীয় সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার কাছে গেলে বিএসএফ সদস্যরা গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই স্বর্ণা নিহত হয় এবং সঙ্গে থাকা দম্পতি আহত হয়। ঘটনার পর স্বর্ণার মা সঞ্জিতাসহ অন্যরা লালারচক গ্রামের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরে আহত দম্পতিকে চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়', যোগ করেন তিনি।

এদিকে, সঞ্জিতাসহ অন্যরা লালারচক গ্রামের যে বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন, সে বাড়ির মালিক ও সেনাবাহিনীর সদস্য জহিরুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি দুজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দেখে সঙ্গে সঙ্গে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে যোগাযোগ করি।'

এ ঘটনা জানতে পেরে সোমবার রাতে স্বর্ণার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে বিজিবি। সেসময় তারা জানায়, স্বর্ণার মরদেহ বিএসএফ নিজেদের হেফাজতে নিয়ে গেছে।

কুলাউড়া থানার ওসি বিনয় ভূষণ রায় বলেন, 'স্বর্ণার মরদেহ ফিরিয়ে আনার বিষয়টি একটি চলমান আইনি প্রক্রিয়া এবং দুই দেশের মধ্যে আলোচনা সাপেক্ষে হবে।'

এ বিষয়ে বিজিবি ৪৬ ব্যাটালিয়নের লালারচক বর্ডার ফাঁড়ির (বিওপি) টহল কমান্ডার নায়েক ওবায়েদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'একদল বাংলাদেশি অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন। বিএসএফের গুলিতে তাদের একজন নিহত হয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত নিহত কিশোরীর মরদেহ ফেরত দেয়নি ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।'

Comments