শেখ হাসিনা, সাবেক ৩ সিইসির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা

শেখ হাসিনা, কাজী হাবিবুল আওয়াল, কে এম নুরুল হুদা ও কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ, কে এম নুরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আওয়ালের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা হয়েছে।

মামলায় বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সব সংসদ সদস্যদেরও আসামি করা হয়েছে।

আজ বুধবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে এ মামলা করেন স্থানীয় বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা একরামুল করিম।

বাদীর আইনজীবী কফিল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, 'আদালত পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সহকারী পুলিশ কমিশনার মর্যাদার একজন অফিসার দিয়ে এই মামলার তদন্ত করার কথা বলেছেন।'

মামলার আরও আসামিদের মধ্যে আছেন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ, মো. জাবেদ আলী, আবদুল মোবারক, মো. শাহনেওয়াজ, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান, বেগম রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, আনিসুর রহমান, নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ ও জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ও আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জনগণের সব গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ, দেশের সংবিধান ও আইনকে লঙ্ঘন করে একপেশে, জনগণের অংশগ্রহণবিহীন ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে কিছু অনির্বাচিত লোককে সংসদ সদস্য ঘোষণা করে। 

অভিযোগে আরও বলা হয়, পরে তাদের মন্ত্রী ও স্পিকার ঘোষণা করা হয়। দেশের মানুষ ভোট দিতে না পেরে নির্বাচনবিমুখ হয়ে পড়ে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে গণতন্ত্র। দেশে স্বৈরাচারী লুটেরা ব্যবস্থার আবির্ভাব হয়। দেশের সব সম্পদ বিদেশে পাচার করে দেশের অর্থনীতি পঙ্গু করে দেন সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীরা।

আইনজীবী কফিল উদ্দিন বলেন, '২০১৮ থেকে ২০২৪ সালের নির্বাচনে সাধারণ মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। যারা কমিশনে দায়িত্বে ছিলেন তাদের ব্যর্থতার কারণে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও নির্বাচনী মাঠে একপেশে আচরণ করেছে। বিপুল টাকা ব্যয়ে যে তিনটি নির্বাচন হয়েছে তাতে সংবিধানের খেলাপ করেছেন কমিশনারসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তাই রাষ্ট্রদোহ ও প্রতারণা মামলা দায়ের করা হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English
chief adviser yunus confirms election date

Election in February

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus last night announced that the general election will be held before Ramadan in February 2026, kickstarting the process of handing over the power to an elected government.

4h ago