ব্যতিক্রম নিয়মে হওয়া মন্ত্রিপরিষদ সচিব আব্দুর রশিদ

শেখ আব্দুর রশিদ | ছবি: সংগৃহীত

শেখ আব্দুর রশিদকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনি প্রথম মন্ত্রিপরিষদ সচিব, যিনি অবসরে যাওয়ার পর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে এই পদে দায়িত্ব পেলেন।

এর আগে মন্ত্রিপরিষদ সচিব পদে নিয়মিত চাকরি শেষে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অবসর থেকে ফিরে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়ে এই পদে দায়িত্ব পাওয়া প্রথম ব্যক্তি হলেন রশিদ। তার বয়স ৬৭ বছর।

২৫তম মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন এই কর্মকর্তা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব নিয়োগকৃত কর্মচারীদের মধ্যে সরকারের সর্বোচ্চতম পদ।

আজ মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন দিয়েছে।

রশিদের নিয়োগ আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে। তার আগের দিন অর্থাৎ ১৩ অক্টোবর বর্তমান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।

সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, আব্দুর রশিদ প্রশাসন ক্যাডারের ১৯৮২ ব্যাচে প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন। প্রশাসনের অন্যতম মেধাবী কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত রশিদ স্বাভাবিকভাবে চাকরি শেষ করলে ২০১৫ সালের দিকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব হতেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার তাকে অতিরিক্ত সচিব পর্যন্ত পদোন্নতি দিয়েছিল।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর ১৭ আগস্ট চুক্তিতে দুই বছরের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব হিসেবে নিয়োগ পান অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব শেখ আব্দুর রশিদ। পরেরদিন তাকে সিনিয়র সচিব করা হয়।

১৯৫৭ সালে সাতক্ষীরা জেলায় জন্মগ্রহণকারী আব্দুর রশিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসন বিষয়ে পিএইচডি অর্জন করেন। তিনি এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় তৃতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন।

তার বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে সাবেক এক মন্ত্রিপরিষদ বলেন, 'আব্দুর রশিদ প্রশাসনের অত্যন্ত সুনামধারী কর্মকর্তা ছিলেন। প্রশাসনে স্বাভাবিক নিয়মে পদোন্নতি পেলে তিনি মন্ত্রিপরিষদ সচিব হওয়াটাই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক বিবেচনায় তাকে গত আওয়ামী লীগ সরকার বঞ্চিত করেছে। যদিও আব্দুর রশিদ মেধাবী ও দল নিরপেক্ষ কর্মকর্তা ছিলেন।'

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

13h ago