বঙ্গভবনের নিরাপত্তা জোরদার

বঙ্গভবনের ফটকের সামনে পুলিশ, র‍্যাব, এপিবিএন ও বিজিবির সদস্যদের সতর্ক অবস্থান নিতে দেখা গেছে। সেখানে সেনাসদস্যরাও আছেন। 
বঙ্গভবনের সামনে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক অবস্থান। ছবি: পলাশ খান/স্টার

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ দাবিতে গতকাল ব্যাপক বিক্ষোভ হওয়ায় আজ বুধবার বঙ্গভবনের সামনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

সেখান থেকে দ্য ডেইলি স্টারের আলোকচিত্রী জানান, বর্তমানে বঙ্গভবনের ফটকের সামনে পুলিশ, র‍্যাব, এপিবিএন ও বিজিবির সদস্যদের সতর্ক অবস্থান নিতে দেখা গেছে। সেখানে সেনাসদস্যরাও আছেন। 

এ ছাড়া, বঙ্গভবনের সামনের সড়কে কাঁটাতারের ব্যারিকেড ও কংক্রিটের প্রতিবন্ধক বসানো হয়েছে।

বঙ্গভবনের সামনের সড়কে শিক্ষার্থীদের কোনো সমাবেশ চোখে না পড়লেও মাথায় পতাকা বাধা কয়েকজনকে বসে থাকতে দেখা গেছে।

ছবি: পলাশ খান/স্টার

সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে সেখানে উপস্থিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্যই কথা বলতে রাজি হননি।

এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সমাবেশ ও বিক্ষোভ হয়। সেখানে এ সপ্তাহের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ দাবি করা হয়। 
একই দাবিতে শাহবাগ ও বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছে ইনকিলাব মঞ্চসহ কয়েকটি সংগঠন।

ছবি: পলাশ খান/স্টার

এ ছাড়া ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ, পাবনা, টাঙ্গাইল, কক্সবাজার, ফেনী, মেহেরপুর, নড়াইল ও ঝিনাইদহ থেকে বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে। জাহাঙ্গীরনগর ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও একই দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে গতকাল দুপুর থেকে ভিন্ন ভিন্ন ব্যানারে বঙ্গভবনের সামনের সড়কে অবস্থান নেন কয়েকশ বিক্ষোভকারী। রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাদের একটি অংশ বঙ্গভবনের সামনের ব্যারিকেড (প্রতিবন্ধক) ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিপেটা করে ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। রাত পৌনে ২টার দিকে বিক্ষোভকারীরা বঙ্গভবন এলাকা ছেড়ে যান।

Comments

The Daily Star  | English

President's fate a political decision; no need to stage demos: Nahid

Information adviser says govt got the people's message, and decision has to be taken through discussions

43m ago