নিক্সন ও মির্জা আজমসহ ৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

এদের মধ্যে নিক্সন চৌধুরী ফরিদপুর-৪ এবং মির্জা আজম জামালপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের এমপি ছিলেন। নিক্সন চৌধুরীর স্ত্রী তারিন হোসেন দৈনিক ইত্তেফাকের প্রকাশক।
নিক্সন চৌধুরী ও মির্জা আজম

আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন চৌধুরী), তার স্ত্রী তারিন হোসেন, সাবেক এমপি মির্জা আজম ও সাবেক এমপি এইচবিএম ইকবালের ছেলে মইন ইকবালের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

এদের মধ্যে নিক্সন চৌধুরী ফরিদপুর-৪ এবং মির্জা আজম জামালপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের এমপি ছিলেন। নিক্সন চৌধুরীর স্ত্রী তারিন হোসেন দৈনিক ইত্তেফাকের প্রকাশক।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর উপ পরিচালক মো. সালাউদ্দিন ও সৈয়দ আতাউল কবিরের পৃথক তিন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ ইব্রাহিম মিয়া এই আদেশ দেন।

পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম দুদকের পক্ষে এই আবেদন করেন।

আবেদনে দুদক কর্মকর্তা আতাউল কবির বলেন, নিক্সন ও তার স্ত্রী অবৈধ উপায়ে, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করেছেন।

আবেদনে দুদক বলেছে, 'দুদক কর্মকর্তারা একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানতে পেরেছেন এই দম্পতি যেকোনো সময় দেশ থেকে পালাতে পারেন। তাই তাদের বিদেশে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া প্রয়োজন।'

অপর আবেদনে দুদক কর্মকর্তা সালাউদ্দিন বলেন, মির্জা আজম অবৈধ উপায়ে এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। তাছাড়া বর্তমানে তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, তাদের নামে শত কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং তার পরিবারের সদস্যদের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তদন্ত চলছে।

আবেদনে আরও বলা হয়, মির্জা আজম যেকোনো সময় দেশ থেকে পালাতে পারেন। তাই তাদের বিদেশে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া প্রয়োজন।

অপর এক আবেদনে দুদক কর্মকর্তা আতাউল কবির বলেন, প্রিমিয়ার প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান মঈন ইকবাল অন্যদের সঙ্গে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ২৬০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। তার তার বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া প্রয়োজন।

Comments

The Daily Star  | English

President's fate a political decision; no need to stage demos: Nahid

Information adviser says govt got the people's message, and decision has to be taken through discussions

3h ago