গত নির্বাচনে শেখপুরা সেন্টারে কীভাবে ৬ ভোট পাইছি আপনারাই ভালো জানেন: নিক্সন

মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন। ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও দ্বাদশ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন বলেছেন, 'এই শেখপুরা সেন্টারে গতবার (২০১৮ সালের নির্বাচনে) আমি ছয়টা ভোট পাইছি। কীভাবে পাইছি সেটা আপনারাই ভালো জানেন। তবে এবার আমি ওয়াদা করলাম, ৫০টা সেন্টারে জাফর উল্যাহ সাহেব ছয় ভোটের বেশি পাবেন না।'

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ভাঙ্গার কাউলীবেড়া ইউনিয়নের শেখপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনী প্রচারণায় এমন মন্তব্য করেন আওয়ামী যুবলীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য।

তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৪ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন।

এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ।

কাজী জাফর উল্যাহকে উদ্দেশ্য করে নিক্সন বলেন, 'আপনি জোর করে নৌকাটা নিছেন। নৌকা দুইবার হারলে আমাদের বুকে রক্তক্ষরণ হয়, আপনার হয় না। যদি আপনার বুকে রক্তক্ষরণ হইতো তাহলে নিক্সনের জোয়ারের ভেতর এবার আপনি নৌকা নিতেন না।'

তিনি আরও বলেন, 'কাজী জাফর উল্যাহ এখন ব্যবসায়ীদের ফোন করে বলে, আমি তো কো-চেয়ারম্যান, প্রেসিডিয়াম মেম্বার। নিক্সনের সঙ্গে নির্বাচনে অনেক খরচ, কিছু মাল পাঠাও। তার এই কথায় একেক ব্যবসায়ী যদি একেক কোটি দেয়, তাহলে ১০০ ব্যবসায়ী ১০০ কোটি দিবে। ওই টাকা কাকা (কাজী জাফরউল্লাহ) ব্যাংকে ঢুকাবে।'

যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য আরও বলেন, 'এবার কাজী জাফর উল্যাহ এক লাখ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হবেন। কাউলীবেড়াবাসী আপনাদের কাছে জবান দিয়ে গেলাম, আমার একটা মানুষের গায়ে যদি হাত দেয়, তাহলে ভাঙ্গায় ১১ ইউনিয়নে তার ১০০ লোকের গায়ে হাত দেওয়া হবে। ওরা যদি একটা ধমক দেয়, পুরা ২৪ ইউনিয়নে ২০০ ধমক খাবেন।'

নিক্সন ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আনারস ও সিংহ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন এবং নৌকার প্রার্থী কাজী জাফর উল্যাহকে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

এবার নিক্সন পেয়েছেন ঈগল পাখি প্রতীক।

এই আসনের সংসদ সদস্য হতে আরও প্রার্থী হয়েছেন জাতীয় পার্টির মো. আনোয়ার হোসেন, তরিকত ফেডারেশনের মাকসুদ আহমেদ, সুপ্রিম পার্টির মো.আলমগীর কবির এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের নাজমুন নাহার।

 

Comments

The Daily Star  | English

Scorched at work: Global report revealed dire heat risks for workers

A joint report released by the World Health Organisation (WHO) and the World Meteorological Organisation (WMO) exposed the growing dangers of extreme heat on workers’ health and productivity worldwide.

34m ago