আশুলিয়ায় ২ শ্রমিক নেতাকে ডেকে নিয়ে থানায় হস্তান্তর

বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফেডারেশনের সভাপতি সারোয়ার হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় শ্রমিক অসন্তোষে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই শ্রমিক নেতাকে ডেকে নিয়ে থানায় হস্তান্তর করেছে যৌথবাহিনী। তবে ১৭ ঘণ্টা ধরে থানায় রাখার পরও পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়নি কিংবা গ্রেপ্তার দেখায়নি।

শ্রমিক নেতারা হলেন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফেডারেশনের সভাপতি সারোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম বাচ্চু।

অপর শ্রমিক নেতারা জানান, শনিবার বিকেল ৫টার দিকে এই দুজনকে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করে যৌথবাহিনী। এরপর থেকে তারা পুলিশ হেফাজতে আছেন।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক অ্যান্ড সোয়েটার শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইন বিষয়ক সম্পাদক খাইরুল মামুন মিন্টু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গতকাল সারোয়ার ভাই আমার সঙ্গে ঢাকায় ছিলেন। দুপুরে তিনি বললেন, সাভার ক্যান্টনমেন্ট থেকে ডাকা হয়েছে। এ কথা বলে ঢাকা থেকে চলে আসলেন। এরপর শুনি সারোয়ার ভাই ও বাচ্চু ভাইকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আরও দুই শ্রমিক নেতাকে ডেকে নিয়েছিল, তবে তাদের ছেড়ে দিয়েছে।' 

তিনি বলেন, 'শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে একটা সুষ্ঠু সমাধানে আসা ছাড়া শ্রমিক ছাঁটাই ও শ্রমিক নেতাদের গ্রেপ্তার কোনো সঠিক সমাধান নয়। গতকাল প্রায় ৫০০-৬০০ শ্রমিক ছাঁটাই করা হয়েছে। শ্রমিক ছাঁটাই ও শ্রমিক নেতাদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে।'

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক শ্রমিক নেতা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গতকাল আমি ঢাকায় ছিলাম। ক্যান্টনমেন্ট থেকে ফোন করে ডাকা হলো। সেখানে যাওয়ার পর ছবি তুলল, জিজ্ঞাসাবাদ করল। এর আগেও বেশ কয়েকবার ডেকেছে। শ্রমিক আন্দোলন না থামালে গ্রেপ্তার করা হবে বলে ভয়ও দেখানো হয়েছে। আমরা তো কেউ এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত না।' 

এ বিষয়ে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'যৌথবাহিনী দুই শ্রমিক নেতাকে থানায় হস্তান্তর করেছে। আন্দোলনে শ্রমিকদের উস্কে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে না গ্রেপ্তার দেখানো হবে, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।' 

তিনি আরও বলেন, 'পুলিশ তদন্ত করছে তারা কারখানায় শ্রমিক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত কি না।'

আশুলিয়া শিল্পপুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মমিনুল ইসলাম ভূইয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় আজ প্রায় সব কারখানায় কাজ চলছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।'

দুই শ্রমিক নেতাকে আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ দায়ের হয়েছে কি না নিশ্চিত হতে পারিনি।'

Comments

The Daily Star  | English

Rangpur mob violence victims’ families decry police inaction

Four arrested, some culprits have gone into hiding, local police say

17m ago