বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পুনঃতদন্তে কমিশন গঠিত

BDR carnage
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানায় বিদ্রোহের সময় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ফাইল ছবি

২০০৯ সালে পিলখানা বিডিআর (বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পুন:তদন্তের জন্য সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক আ ল ম ফজলুর রহমানকে এই কমিশনের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার পিলখানার বিজিবি সদরদপ্তরে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে যেয়ে এই তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

কমিশনে সেনাবাহিনীর দুই সদস্য, একজন সরকারি কর্মকর্তা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একজন করে সদস্য ও পুলিশ থেকে অপর এক সদস্য অন্তর্ভুক্ত হবেন বলে জানান তিনি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিশ্চিত করেন, ইতোমধ্যে এই কমিশনের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

২০০০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০০১ সালের জুলাই পর্যন্ত তৎকালীন বিডিআর (বাংলাদেশ রাইফেলস)-এর মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন আ ল ম ফজলুর রহমান।

গত ১৭ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানিয়েছিলেন, পিলখানা বিডিআর (বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানার সদর দপ্তরে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় সংস্থাটির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। এই ঘটনায় হত্যা মামলায় ২০১৩ সালে বিশেষ আদালতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেন এবং খালাস পায় ২৭৮ জন।

পিলখানার এই নির্মম ঘটনার পর বিডিআরের সাংগঠনিক কাঠামো ভেঙে সংস্থাটি পুনর্গঠন করে 'বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)' নামকরণ করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Divisions widen over July Charter’s status, implementation

Major political parties are divided over the July Charter’s implementation timeline

11h ago