সরকারি কর্মকর্তাদের শৃঙ্খলাবহির্ভূত আচরণ নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কঠোর নির্দেশনা

রমজানে সরকারি অফিসের সময়সূচি

সরকারি কর্মকর্তাদের শৃঙ্খলা বহির্ভূত আচরণের বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

আজ মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় জানায়, সম্প্রতি বিভিন্ন পদমর্যাদার কিছু সরকারি কর্মচারী বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে সমাবেশ, অবস্থান ধর্মঘট, মানববন্ধন, কলম বিরতিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের কারণে সরকারি কর্মচারীদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

এতে আরও বলা হয়, সরকারের কোনো কোনো সিদ্ধান্ত, আদেশ বা সংস্কার কার্যক্রমের বাস্তবায়ন সম্পন্ন হওয়ার আগেই বিবেচ্য বিষয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিরুপ মন্তব্যসহ বিবৃতি প্রকাশ করা হচ্ছে যা সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ এর পরিপন্থি। 

সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালায় আছে, কোনো সরকারি কর্মচারী সরকারের অথবা কর্তৃপক্ষের কোনো সিদ্ধান্ত বা আদেশ পালনে জনসমক্ষে আপত্তি উত্থাপন করতে বা যেকোনো প্রকারে বাধা দিতে পারবেন না, অথবা অন্য কাউকে তা করার জন্য উত্তেজিত বা প্ররোচিত করিতে পারবেন না।

কর্মচারীরা সরকারের বা কর্তৃপক্ষের কোনো সিদ্ধান্ত বা আদেশ সম্পর্কে জনসমক্ষে কোনো অসস্তুষ্টি বা বিরক্তি প্রকাশ করতে অথবা অন্যকে তা করার জন্য প্ররোচিত করতে অথবা কোনো আন্দোলনে অংশ নিতে বা অন্যকে অংশ নেওয়ার জন্য প্ররোচিত করতে পারিবেন না।

কর্মচারীরা সরকার বা কর্তৃপক্ষের কোনো সিদ্ধান্ত বা আদেশ পরিবর্তন, বদলানো, সংশোধন বা বাতিলের জন্য প্রভাব বা চাপ প্রয়োগ করতে পারবেন না।

এছাড়া, সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে বা কোনো শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে যে কোনোভাবে অসন্তুষ্টি, ভুল বোঝাবুঝি বা বিদ্বেষের সৃষ্টি করিতে অথবা অন্যকে প্ররোচিত করতে বা সৃষ্টির উদ্যোগ নিতে পারবেন না।

মন্ত্রণালয় জানায়, সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ এর যেকোনো বিধান লঙ্ঘন সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর আওতায় অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে। 

কোনো সরকারি কর্মচারী এ বিধিমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে তিনি অসদাচরণের দায়ে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থার আওতায় আসবেন। সরকারি কর্মচারীদের শৃঙ্খলা বহির্ভূত আচরণের বিষয়ে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর বলেও উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

3h ago