দ্য ডেইলি স্টারের স্টাফ ডে উদযাপন

ডেইলি স্টার, মাহফুজ আনাম, ট্রান্সকম গ্রুপ, সিমিন রহমান, রোমো রউফ চৌধুরী,
মঙ্গলবার রাজধানীর দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারের ছাদে দিনব্যাপী স্টাফ ডে উদযাপন করা হয়। ছবি: স্টার

সাংবাদিকতার সর্বোচ্চ মান সমুন্নত রাখার অঙ্গীকার নিয়ে দ্য ডেইলি স্টার স্টাফ ডে উদযাপন করেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারের ছাদে দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ডেইলি স্টার, মাহফুজ আনাম, ট্রান্সকম গ্রুপ, সিমিন রহমান, রোমো রউফ চৌধুরী,
দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম, মিডিয়াওয়ার্ল্ড লিমিটেডের পরিচালক ও ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিমিন রহমান, মিডিয়াওয়ার্ল্ড লিমিটেডের আরেক পরিচালক রোমো রউফ চৌধুরীর সঙ্গে পুরস্কার বিজয়ীরা। ছবি: স্টার

মঙ্গলবার সকালে পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক আয়োজনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।

দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম বলেন, ডেইলি স্টার আগে সরকারের চাপের মুখে ছিল। আর এখনকার চ্যালেঞ্জ হলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। কারণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায়ই ডেইলি স্টারকে নিয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য ছড়ানো হয়।

তিনি আরও বলেন, ডেইলি স্টার সবসময় ক্ষমতাকে জবাবদিহির মধ্যে রেখে সাহসী, নৈতিক ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা অব্যাহত রাখবে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন মিডিয়াওয়ার্ল্ড লিমিটেডের পরিচালক ও ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিমিন রহমান। ছবি: স্টার

দ্য ডেইলি স্টারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান মিডিয়াওয়ার্ল্ড লিমিটেডের পরিচালক ও ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিমিন রহমান পত্রিকাটির কর্মীদের নিষ্ঠা ও সততার প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, 'পুরো যাত্রায় আমরা নৈতিকতা ও মূল্যবোধের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থেকেছি।'

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম। ছবি: স্টার

মিডিয়াওয়ার্ল্ড লিমিটেডের আরেক পরিচালক রোমো রউফ চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকতা ও সম্পাদকীয় নীতিমালার দিক থেকে পত্রিকাটি অনন্য।

দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমান বলেন, ডেইলি স্টার ও প্রথম আলো বছরের পর বছর ধরে স্বাধীন সাংবাদিকতা করে আসছে। প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সংবাদের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী শাসনের প্রতিবাদ জানিয়েছে।

অনুষ্ঠানে দ্য ডেইলি স্টারের ৩৩ সাংবাদিক ও কর্মীকে সম্মাননা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান। ছবি: স্টার

এনআরবিসি ব্যাংক কেলেঙ্কারি নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের জন্য বেস্ট ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টিং-২০২৪ পুরস্কার পেয়েছেন সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার জাইমা ইসলাম ও স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট পার্থ প্রতিম ভট্টাচার্য। এডিটরস পারফরম্যান্স এক্সিলেন্স পুরস্কার পেয়েছেন গোলাম মোর্তজা। সেরা রিপোর্টারের পুরস্কার পেয়েছেন মো. মহিউদ্দিন আলমগীর।

'মোস্ট ইমপ্যাক্টফুল জার্নালিস্ট' পুরস্কার পেয়েছেন মোহাম্মদ সুমন মিয়া। 'ইয়ার অব দ্য ইয়ুথ' পেয়েছেন আশিক আবদুল্লাহ অপু, সাজ্জাদ হোসেন, আরাফাত রহমান ও সিরাজুল ইসলাম।

'মোস্ট প্রমিসিং সাব-এডিটর' হয়েছেন ফিদা আল হোসেন এবং সেরা সাব-এডিটর হয়েছেন মাশফিক মিজান।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন মিডিয়াওয়ার্ল্ড লিমিটেডের আরেক পরিচালক রোমো রউফ চৌধুরী। ছবি: স্টার

সেরা জেলা রিপোর্টার হয়েছেন দীপংকর রায় এবং সেরা ফটোগ্রাফারের পুরস্কার পেয়েছেন রাজীব রায়হান।

এছাড়া সেরা বিজনেস রিপোর্টার মেহেদী হাসান, বেস্ট ইন আর্টস অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্টে দোয়েল বিশ্বাস, ডেইলি স্টার বাংলা বিভাগের সেরা এসএম শফিকুল্লাহ, মোস্ট টক অ্যাবাউট ফটো মো. হাবিবুর রহমান, বেস্ট ইন গ্রাফিক্স অ্যান্ড ভিজ্যুয়ালাইজেশন আবুল ফাতাহ মোহাম্মদ নিয়াজ মখদুম, বেস্ট ইন মাল্টিমিডিয়া নাইমুর রহমান, বেস্ট ইন এডিটোরিয়াল অ্যান্ড অপ-এড তামান্না খান এবং বেস্ট ইন স্টার স্পোর্টস পুরস্কার পেয়েছে খালিদ হোসেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন গোলাম মোর্তজা। ছবি: স্টার

এছাড়া আরও পুরস্কার পেয়েছেন- কে তানজিল জামান (ফিচার সাব-এডিটর), মো. জাহিদুর রাব্বী (ফিচার রিপোর্টার), আহসান মাহমুদ (প্রিন্ট বিজনেস), ওয়ালিদ বিন আলম (ডিজিটাল বিজনেস), সাদমান মুনতাসির (মার্কেটিং), জুবায়ের ইবনে লতিফ (বিজনেস ডেভেলপমেন্ট স্পেশাল প্রজেক্ট), সাওদিয়া আফরিন (কর্মাশিয়াল সাপ্লিমেন্টস), ইমাম হোসেন চৌধুরী (আইটি), তৌফিক আহমেদ (অ্যাকাউন্টস), মো. তৌফিকুল ইসলাম (ডিজিটাল অপারেশনস), মো. আরিফুর রহমান (প্রোডাকশন) এবং মো. নিয়ামত উল্লাহ (এইচআর অ্যান্ড অ্যাডমিন)।

সম্মিলিত সংগীত পরিবেশন করছেন ডেইলি স্টারের স্টাফরা। ছবি: স্টার

'৩৬ ডেজ অব জুলাই' প্রদর্শনীর আয়োজক দলকে 'টিম অব দ্য ইয়ার' পুরস্কার দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন স্টাফ সাব-এডিটর নাজিবা বাশার।

Comments

The Daily Star  | English
education in Bangladesh

As a nation, we are not focused on education

We have had so many reform commissions, but none on education, reflecting our own sense of priority.

13h ago