পৃথক থাকছে না, একই ইউনিফর্ম পরবে পুলিশের সব ইউনিট

(বাম দিক থেকে) পুলিশ র‍্যাব ও আনসারের নতুন পোশাক। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ পুলিশের পৃথক পৃথক ইউনিটগুলো আর ভিন্ন ভিন্ন ইউনিফর্ম ব্যবহার করবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

তিনি জানান, সচিবালয়ে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে গতকাল চূড়ান্ত হওয়া
ইউনিফর্ম সবাই ব্যবহার করবে।

বৈঠকে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ও আনসার বাহিনীর ইউনিফর্ম চূড়ান্ত করা হয়।

আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এই তথ্য জানান।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে পুলিশ, র‌্যাব ও আনসারের জন্য পৃথক তিনটি ইউনিফর্ম অনুমোদন পেয়েছে, এটি প্রধান উপদেষ্টার চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

তিনি বলেন, আগের মতো ইউনিটগুলোর পোশাকে আর বৈচিত্র্য থাকবে না।

'এই সিদ্ধান্তের পর পুলিশের সব ইউনিট একই পোশাক পরবে। এই পদক্ষেপ বাহিনীর অভিযানগুলোকে সুসংহত করবে,' যোগ করেন তিনি।

বৈঠকে ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশার সংখ্যা দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন কমিশনার।

বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশে দুই লাখেরও বেশি সদস্য কাজ করছেন। পাশাপাশি ১৯ হাজার বেসামরিক কর্মী আছে।

মতবিনিময় সভায় ডিএমপি কমিশনার ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশার সংখ্যা দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

'এই ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী দিনে শহরে চলাফেরা করা অসম্ভব হয়ে পড়বে,' সতর্ক করেন তিনি।

কমিশনার বলেন, 'রিকশার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আমরা লাইসেন্স দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছি। ঢাকার রাস্তায় কত সংখ্যক ব্যাটারি-রিকশা থাকবে তা নির্ধারণ করতে হবে এবং সে অনুযায়ী অনুমোদন দিতে হবে।'

প্রাথমিকভাবে লাইসেন্স বাবদ নামমাত্র ফি ১০০ বা ২০০ টাকা করার প্রস্তাব জানিয়ে সাজ্জাত বলেন, এই উদ্যোগ নেওয়া হলে অনুমোদিত রিকশা এবং বাইরে থেকে শহরে প্রবেশকরা রিকশা শনাক্ত করা সম্ভব হবে।

নিয়ন্ত্রণ অপরিহার্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'কোনো দেশই কর পরিশোধ না করলে সড়ক ব্যবহার করতে দেয় না। ঢাকার রাস্তায় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হলে এই খাতকে নিয়ন্ত্রণ কাঠামোর আওতায় আনতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
Domestic violence killing women in Bangladesh

Domestic violence in Bangladesh: When numbers speak of the silence

When we are informed that 133 women have been killed by their husbands in seven months, it is no longer just a number.

8h ago