কুড়িগ্রাম

বিজিবির প্রতিবাদের পর সীমান্তের সিসি ক্যামেরা অপসারণের সিদ্ধান্ত বিএসএফের

সীমান্তে সিসি ক্যামেরা
ছবি: সংগৃহীত

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দক্ষিণ বাঁশজানি সীমান্তের জিরোলাইনে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের স্থাপন করা সিসিটিভি ক্যামেরা অপসারণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

আজ মঙ্গলবার দুপুরে বাঁশজানি সীমান্তের নো-ম্যানস ল্যান্ডে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

পতাকা বৈঠকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির পক্ষে কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান ও বিএসএফের পক্ষে ১৬২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ডেন্ট অনিল কুমার মনোজ নেতৃত্ব দেন।

বিজিবি ও স্থানীয়রা জানান, গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে বিএসএফ সদস্যরা গোপনে বাঁশজানি সীমান্তে আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ৯৭৮ এর ৯ নম্বর সাব-পিলারের পাশে বাংলাদেশের দিকে তাক করে একটি ইউক্যালিপটাস গাছে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে। 

পরদিন সকালে স্থানীয়রা সিসিটিভি ক্যামেরা দেখতে পেয়ে বিজিবি সদস্যদের খবর দেয়। বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিএসএফের সিসিটিভি ক্যামেরা দেখতে পেয়ে প্রতিবাদ জানায়।

পরে আজ মঙ্গলবার দুপুরে সীমান্তে জিরোলাইন থেকে সিসিটিভি ক্যামেরা অপসারণের দাবি জানিয়ে বিএসএফকে চিঠি দেয় বিজিবি।  

স্থানীয় অধিবাসী নজরুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গোপনে বিএসএফের সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করায় তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। সীমান্তে একটি জামে মসজিদ আছে। মসজিদটির সংস্কার কাজ শুরু করার পরই বিএসএফ সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করে। বিজিবির নির্দেশে মসজিদের সংস্কার কাজ আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।' 

জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিজিবির প্রতিবাদের কারণে বিএসএফ সীমান্তে জিরোলাইন থেকে সিসিটিভি ক্যামেরা অপসারণের সিদ্ধান্ত রিয়েছে। আগামীকাল বুধবারের মধ্যে সিসিটিভি ক্যামেরাটি অপসারণ করবে।'

তিনি আরও বলেন, 'পতাকা বৈঠকে সীমান্তে জিরোলাইন থেকে নির্মিত টিনের স্থাপনা খুলে ফেলা ও ১৫০ গজের মধ্যে স্থাপনা নির্মাণ না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া উভয় দেশের সীমান্ত সংক্রান্ত নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।' 

Comments

The Daily Star  | English

‘For 15 years I fought for BNP leaders and activists, today they pushed me’

Rumeen Farhana says she was almost knocked down during clash at EC over Brahmanbaria boundaries

1h ago