নারী দিবস উপলক্ষে ছবি প্রদর্শনী 

খুনিরা এখনো মুক্ত কেন, অভ্যুত্থানে শহীদ নারীর মায়ের প্রশ্ন 

জুলাই আন্দোলনে নারীদের ভূমিকা নিয়ে 'অভ্যুত্থানে অগ্রগামী নারী' শীর্ষক আলোচনা, ছবি স্টার

জুলাই আন্দোলনে নারীদের ভূমিকা নিয়ে 'অভ্যুত্থানে অগ্রগামী নারী' শীর্ষক আলোচনা এবং জুলাইয়ের ৩৬  ছবি প্রদর্শনী চলছে গতকাল থেকে রাজধানীর গুলশান শুটিং ক্লাবে। আয়োজন করছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে উইমেন এন্ট্রপ্রেনিওর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ওয়েব)। ৬ থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে ৮ মার্চ শনিবার।

অভ্যুত্থানে অগ্রগামী নারী শীর্ষক আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে কথা বলেছেন অভ্যুত্থানে শহীদ নাঈমা সুলতানার মা আইনুন নাহার, জুলাই আন্দোলনে আহত ফাহমিদা আলী, জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সচিব আকরাম হোসেন সিএফ ও বিএনপি নেতা ও বাউফু সভাপতি তাবিত আউয়াল। আলোচক হিসেবে ছিলেন অধ্যাপক মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, সাংবাদিক কাজল রশীদ শাহীন, রফিকুল ইসলাম রলি, কবি মঈন মুনতাসির ও ইমরান মাহফুজ। উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মনজুরুল হক, কবি আবিদ আজম, কবি মামুন সারওয়ার, গবেষক শামস আরেফিন, কবি সুজন বিশ্বাস ও জুলাই আন্দোলনে আহত আসিফ মাহামুদ। সভাপতি হিসেবে ছিলেন ওয়েবের সভাপতি নাসরিন ফাতেমা আউয়াল।

আইনুন নাহার বলেন, জুলাই আন্দোলনে উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরে বাসার বারান্দায় আমার মেয়েকে হত্যা করার ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সবাই দেখেছেন কে কীভাবে মেরেছে। অথচ খুনিরা এখনো বাহিরে, গ্রেফতার হয়নি। এটা মানা যায় না। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই। খুনিরা এখনো মুক্ত কেন- এই প্রশ্ন রেখে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। 

তাবিত আউয়াল বলেন, জুলাই আন্দোলনে নারীরা দেখিয়েছেন তাদের শক্তি ও সামর্থ। এখন তাদের প্রেরণায় সমাজ নতুন করে গড়ে তুলতে হবে। বিশেষ করে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে তাদের যে ত্যাগ ও স্বপ্নের বৈষম্যহীন বাংলাদেশ এখন আমাদের সবার স্বপ্ন।

জুলাইয়ের ৩৬ ছবি প্রদর্শনী চলছে গতকাল থেকে রাজধানীর গুলশান শুটিং ক্লাবে

মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, নারীদের প্রতি যথাযথভাবে আমাদের সম্মান দেখাতে হবে। তাদের অবদানের কথা ভুলে গেলে চলবে না। এমন উদ্যাগের জন্য ধন্যবাদ আয়োজকদের।

আকরাম হোসেন সিএফ বলেন, জুলাই আন্দোলনে মাদ্রাসা স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় কোনো ভেদাভেদ ছিল না। বোরকা হিজাব এসবের কোনো বালাই ছিল না। সবার স্বপ্ন ছিল বৈষম্যহীন সমাজ। তারা না থাকলে আমাদের আন্দোলন সফল হতো না। তাই তাদের ত্যাগ ও স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে সবাইকে একসাথে কাজ করে যেতে হবে। 

নাসরিন ফাতেমা আউয়াল বলেন, অভ্যুত্থানে অগ্রগামী নারীদের প্রেরণায় আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। এবং এই মেলা নারীদের আর্থিক স্বাধীনতা অর্জন এবং উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এটি শুধু নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্যই নয় বরং সমাজে নারীদের অবদানকে আরও গতিশীল করবে।

Comments

The Daily Star  | English
Election Commission

EC’s accountability is key to Bangladesh’s electoral reform

Success of wider electoral reforms depends heavily on the EC’s willingness to adopt reforms.

8h ago