‘স্ট্যান্ড ফর এনআইডি’: বৃহস্পতিবার সারাদেশে ২ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচির ডাক ইসি কর্মীদের

বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আহমেদ দীপ্ত/স্টার

জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে রাখার দাবিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১ থেকে পরবর্তী দুই ঘণ্টা সারাদেশে অবস্থান কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সারাদেশের ইসি সচিবালয়, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ, নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট ও মাঠ পর্যায়ের সব কার্যালয়ে 'স্ট্যান্ড ফর এনআইডি' শিরোনামের এই কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মনির হোসেন। তিনি বলেন, '৫ তারিখে স্মারকলিপি দিয়েছিলাম। দৃশ্যমান পদক্ষেপ আমরা দেখতে চেয়েছি। কমিশনের পক্ষ থেকে পেলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ দেখিনি। আমরা ঘোষণা করেছিলাম, ১২ মার্চের মধ্যে যদি আমাদের দাবি মানা না হয়, তাহলে কর্মসূচি দিবো।'

মনির হোসেন বলেন, আগামীকাল সারাদেশে নির্বাচন কমিশন কার্যালয় ও অফিসগুলোতে বেলা ১১ টা থেকে ১টা পর্যন্ত আমরা স্ট্যান্ড ফর এনআইডি কর্মসূচি পালন করব। আগামীকাল সারাদেশে এই কর্মসূচি পালিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে এনআইডি অনুবিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, এনআইডি সেবা নির্বাচন কমিশন থেকে সরিয়ে নেওয়ার যে পরিকল্পনা হচ্ছে, তা রুখে দিতে তাদের এই পদক্ষেপ।

সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউশনের (ইটিআই) মহাপরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান বলেন, 'এনআইডি ইসিতেই থাকবে এটা আমাদের প্রত্যাশা। ২০১০ সাল থেকে এই এনআইডি থেকে কেউ সার্ভার নেয়, কেউ ডেটাবেইজ নেয়। সবাই চাচ্ছে এনআইডি ইসিতে থাক। এরপরও এটি এখান থেকে কেন সরানো হবে তা আমাদের বোধগোম্য নয়।'

আসাদুজ্জামানের ভাষ্য, 'এখানে যে ডাটাবেইজ আছে, সেটা থেকে এনআইডি ও ভোটার তালিকা তৈরি হয়। টুইন এরা। দুটির মালিকই ইসি। কোনক্রমেই এটা আলাদা করা উচিত নয়। ডিসপ্লিন ওয়েতে চলেছে এনআইডি, আলাদা হলে হুমকির মুখে পড়তে পারে। এখানে জনবল তৈরি হয়েছে প্রায় ৫ হাজার।'

এর আগে গত ৫ মার্চ একই দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেন ইসি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সেদিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েনের নেতাদের সঙ্গে বসেছি, আলোচনাও হয়েছে। নতুন কমিশনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে আমি শুনিনি। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি, বিষয়টি আলাপ-আলোচনা পর্যায়ে আছে।'

Comments

The Daily Star  | English

22 sectors still pay wages below poverty line

At least 22 sectors in Bangladesh continue to pay their workers much less than what is needed to meet basic human needs.

5h ago