মার্কিন পণ্যে আরোপকৃত শুল্ক পর্যালোচনা করছে এনবিআর: শফিকুল আলম

শফিকুল আলম | ছবি: ফাইল ছবি

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর আরোপিত শুল্ক পর্যালোচনা করছে বাংলাদেশ।

আজ বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) দ্রুততম সময়ে শুল্কহার যৌক্তিক করার বিভিন্ন বিকল্প খুঁজে বের করবে, যা এই বিষয়টি সমাধানে অত্যন্ত জরুরি।

তিনি আরও লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং আমাদের সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য। ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে আমরা দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য একযোগে কাজ করে আসছি। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে চলমান আলোচনার মাধ্যমে শুল্ক ইস্যু সমাধানে ইতিবাচক অগ্রগতি হবে বলে আশা করছি।

এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন 'রিসিপ্রোকাল ট্যারিফ' নীতির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

আজ হোয়াইট হাউজ প্রকাশিত একটি চার্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশ কার্যত মার্কিন পণ্যের ওপর ৭৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। তাই, বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ 'ডিসকাউন্টেড রিসিপ্রোকাল ট্যারিফ' ধার্য করা হয়েছে।

যেসব দেশ মার্কিন পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নিতে ট্রাম্প প্রশাসন 'লিবারেশন ডে' উদ্যোগের অংশ হিসেবে এই 'রিসিপ্রোকাল ট্যারিফ' চালু করেছে।

৩৭ শতাংশ 'রিসিপ্রোকাল ট্যারিফ'র এই ঘোষণা বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে বাংলাদেশে। কারণ, পণ্য রপ্তানি, বিশেষ করে পোশাক রপ্তানির ওপর দেশের অর্থনীতি অনেকটাই নির্ভরশীল, যার সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। ঢাকার শিল্পখাতের নেতারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এই উচ্চ শুল্ক বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা দুর্বল করে দিতে পারে।

হোয়াইট হাউজ নতুন এই শুল্ক কাঠামোকে ব্যাখ্যা করছে, দীর্ঘদিনের একতরফা বাণিজ্য সম্পর্কের সংশোধনমূলক ব্যবস্থা হিসেবে। তবে অর্থনীতিবিদ ও বাণিজ্য সংস্থাগুলোর একাংশ সতর্ক করে বলছে, এই নীতি প্রতিশোধমূলক শুল্কের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে এবং এতে করে মার্কিন ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের ব্যয় বেড়ে যাবে।

Comments

The Daily Star  | English

Election in first half of April 2026

In his address to the nation, CA says EC will later provide detailed roadmap

1h ago