আড়িপাতা ব্যবস্থা তদন্তে কমিটি হয়েছে: প্রেস সচিব

বিগত আওয়ামী শাসনামলে তৈরি করা সরকারের নজরদারি ব্যবস্থা তদন্তে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার একটি কমিটি গঠন করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ কথা জানান।
প্রেস সচিব বলেন, 'আজকে ক্যাবিনেট আলোচনা হয়েছে সারভেইলেন্স (নজরদারি) নিয়ে টেক গ্লোবাল ইনস্টিটিউট ও ডেইলি স্টারের রিপোর্ট নিয়ে। প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলারের সারভেইলেন্স ইকুইপমেন্ট কেনা হয়েছে বিগত আওয়ামী আমলে আমরা রিপোর্টে পড়েছি।'
'এখানে পুরোপুরি স্পষ্ট যে গত স্বৈরাচার সরকার বাংলাদেশের নাগরিকের অধিকার হরণের জন্য এই সারভেলেইন্স ইকুইপমেন্টগুলো স্পাইওয়ারের ইউজ, অবৈধ নজরদারি করে ফ্রিডম অব স্পিচ কেড়ে রেখেছিল। কনস্টিটিউশনে আমাদের যে গোপনীয়তার অধিকার সেটাকে তারা খর্ব করেছে। এটার জন্য একটা কমিটি করে দেওয়া হয়েছে,' বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, 'এই কমিটি ইনভেস্টিগেট করবে যে কত টাকার কত মিলিয়ন ডলারে এসব ইকুইপমেন্ট কেনা হয়েছে এবং কোথা থেকে এগুলো কেনা হয়েছে। অলরেডি রিপোর্টে এসেছে যে অনেক কিছুই ইসরায়েল থেকে কেনা হয়েছে। কমিটি পুরো বিষয়গুলো খতিয়ে দেখবে।'
ডাক-টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবকে এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন প্রেস সচিব।
'কমিটি পুরো আড়িপাতার ইনফ্রাস্ট্রাকচার নিয়ে কাজ করছে। তারাই এই ইনফ্রাস্ট্রাকচার নিয়ে এটা কীভাবে কী কাজ করেছে, এটা কমিটি খতিয়ে দেখবে,' যোগ করেন তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকার নাগরিকের ওপর নজরদারি করছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, 'আমি বলতে পারি এই সরকার কোনো বেআইনি কাজ করছে না।'
তিনি আরও বলেন, 'আজকের ক্যাবিনেটে এটাও আলাপ হয়েছে আরেকটা রিপোর্টের বিষয়ে। যেটা হলো পুলিশের জন্য মারণাস্ত্র কেনার বিষয়ে। সেটা নিয়েও ইনভেস্টিগেশন হচ্ছে কীভাবে এই মারণাস্ত্র কেনা হয় এবং কীভাবে তা ব্যবহার হয়।'
উল্লেখ্য, সম্প্রতি দ্য ডেইলি স্টারে 'যেভাবে দেশব্যাপী নজরদারি ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিল আওয়ামী লীগ সরকার' শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ হলে আওয়ামী লীগ সরকারের নজরদারি ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে আলোচনা তৈরি হয়।
Comments