কুয়াকাটা সৈকত দখল করে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ মার্কেট নির্মাণ

সৈকত দখল করে চলছে মার্কেট নির্মাণের কাজ। ছবি: সোহরাব হোসেন/স্টার

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত দখল করে চলছে অবৈধভাবে 'ঝুঁকিপূর্ণ' মার্কেট নির্মাণের কাজ। 

টিন ও কাঠের মাচার উপর ইট-সিমেন্টের ঢালাই দিয়ে করা হচ্ছে দ্বিতীয় তলায় আবাসিক হোটেল ও রেস্টুরেন্ট, যা পর্যটকদের জন্য বেশ ঝুকিপূর্ণ। 

এক সময় এটি টাইলস মার্কেট নামে পরিচিত ছিল। সম্প্রতি, মার্কেটটিকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' ঘোষণা দিয়ে সাইনবোর্ড স্থাপন করেছে কুয়াকাটা পৌর কর্তৃপক্ষ। 

সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এবার সৈকত দখল করে মার্কেটিককে বর্ধিত করছেন স্থানীয় এক ব্যবসায়ী। 

সাগর থেকে ঢেউ আছড়ে পড়ে মার্কেটে। ছবি: সোহরাব হোসেন/স্টার

স্থানীয় বাসিন্দা মো. সাজিদুল ইসলাম হিরু মিয়া নিজেকে ওই জমির মালিক দাবি করলেও, কুয়াকাটা পৌর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সৈকতের মালিকানা সরকারের, এখানে মার্কেট করার কোনো সুযোগ নেই।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্টের পশ্চিমপাশে প্রায় ২০০ ফুট লম্বা টাইলস মার্কেটের পশ্চিমপাশে সাগর থেকে বালু উত্তোলন করে সৈকতে দোতলা মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে। ওই স্থাপনার নিচে দোকান চালানো অর্ধশতাধিক ব্যবসায়ীরাও আতঙ্কে আছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কেটের এক দোকানদার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বর্ষাকালে সাগর থেকে বিশাল ঢেউ এসে আছড়ে পড়ে এই মার্কেটে। আমরা এতে ঝুঁকিতে থাকি। এতদিন যেভাবে ছিল তাতে ভয় কম ছিল। কিন্তু, এখন মার্কেটটি পিলার ছাড়াই ঢালাই দিয়ে দোতলা করা হচ্ছে। এতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।'

পর্যটন শহর কুয়াকাটার ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কে এম বাচ্চু ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কুয়াকাটায় স্থায়ী কোনো মার্কেট না থাকায়, এই মার্কেটটি কিছুটা হলেও পর্যটকদের প্রসাধনী কেনায় গুরুত্বপূর্ন স্থান হিসেবে বিবেচিত। কিন্তু মার্কেটটি ঝুঁকিপূর্ণ। সৈকতের মধ্যে মার্কেটিকে কীভাবে বর্ধিত করা হচ্ছে জানা নেই।'

এ বিষয়ে ওই জমির মালিক দাবি করা মো. সাজিদুল ইসলাম হিরু মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এই জমির মালিক আমি। আমার জমির অনেকাংশ সমুদ্রের মধ্যে রয়েছে। এটা নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে অনেকবার বৈঠক হয়েছে, আবারও হবে। আর স্থাপনাটি ঝুকিপূর্ণ নয়। প্রকৌশলীর পরামর্শ নিয়ে কাজ করা হয়েছে।'

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কুয়াকাটা পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়ামিন সাদেক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সমুদ্র সৈকতের মালিক একমাত্র সরকার। এখানে ব্যক্তি মালিকানার কোনো সুযোগ নেই। পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।'

Comments

The Daily Star  | English
rooppur-nuclear-power-plant

Gridline woes delay Rooppur Power Plant launch

The issue was highlighted during an International Atomic Energy Agency (IAEA) inspection in March

1h ago