সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ব্যক্তির মেয়ের মরদেহ উদ্ধার

রাজধানীর শেখেরটেক এলাকার একটি বাসায় জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ব্যক্তির ১৮ বছর বয়সী মেয়ের মৃত্যু হয়েছে।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে শনিবার দিবাগত রাত সোয়া ১০টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আদাবর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কমল চন্দ্র ধর দ্য ডেইলি স্টারকে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন।
তার বাবা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে পুলিশের গুলিতে নিহত হন।
এর আগে গত ১৮ মার্চ বাবার কবর জিয়ারত শেষে ফেরার পথে পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় ওই কলেজশিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছিলেন। পরদিন ওই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়।
তিনি দুমকিতে দাদির কাছে থাকতেন এবং উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
তার চাচা জানান, দুই দিন আগে চিকিৎসার জন্য মায়ের সঙ্গে তিনি ঢাকায় এসেছিলেন। তার মা দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে শেখেরটেক ছয় নম্বর রোডের একটি বাসায় ভাড়া থাকেন।
জুলাই ফাউন্ডেশন ও বিভিন্ন সংগঠনের সহযোগিতায় তাদের সংসার চলতো, জানান তিনি।
ওই শিক্ষার্থী মা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ধর্ষণের পর থেকে আমার মেয়েটা হতাশায় ভুগছিল। মানসিক সমস্যার পাশাপাশি শারীরিক সমস্যাও ছিল। নিউরোসায়েন্সে (ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতাল) চিকিৎসা চলছিল। ও এ রকম পদক্ষেপ নিতে পারে কল্পনাও করিনি।'
মেয়ের মৃত্যুতে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকেও সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
Comments