ভারত-পাকিস্তান পরিস্থিতি ‘গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ’ করছে বাংলাদেশ, দুই পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।

একইসঙ্গে দুই দেশকে শান্ত ও সংযত থাকা এবং পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে এমন কোনো পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

আজ বুধবার এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ আহ্বান জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, 'বাংলাদেশ সরকার ভারত ও পাকিস্তানে উদ্ভূত পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।'

'আঞ্চলিক শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় বাংলাদেশ আশা করছে যে, কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমিত হবে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে, যা এই অঞ্চলের জনগণের কল্যাণ বয়ে আনবে,' বলা হয় বিবৃতিতে।

আজ ভোরে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের নয়টি স্থানে হামলা চালায় ভারত। পাকিস্তানও পাল্টা জবাব দিয়েছে বলে দেশটির সামরিক বাহিনী জানিয়েছে। 

দুই দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষ।

পাকিস্তানের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, হামলা ও গোলাগুলিতে তাদের ২৬ নাগরিক নিহত হয়েছে। আর ভারতের হিসাব অনুযায়ী, ১২ জন নিহত হয়েছেন।

এর আগে, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনকে ফোন করেন।

মঙ্গলবার গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তৌহিদ হোসেন বলেন, 'পাকিস্তানকে আমি জানিয়েছি, বাংলাদেশ শান্তি চায় এবং এ অঞ্চলে কোনো ধরনের সংঘাত চায় না।'

তিনি জানান, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে তিনি আলোচনার মাধ্যমে যেকোনো সমস্যা সমাধানের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

'পাকিস্তান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে ফোন করেছেন, আমি তাকে বলেছি আমরা শান্তি চাই। এখানে কোনো সংঘাত দেখতে চাই না,' বলেন তৌহিদ।

ভারতকে একই বার্তা দেবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'যদি ভারত আমার কাছে কিছু জানতে চায়, আমি নয়াদিল্লিকে একেবারে একই কথা বলব। আগে থেকে কিছু বলার প্রয়োজন নেই।'

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, 'পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফোন করে সাম্প্রতিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে তাদের নেওয়া কিছু পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি কোনো সমর্থন বা নির্দিষ্ট প্রতিক্রিয়া চাননি। আমি শুধু বলেছি, এমন কিছু ঘটানো উচিত নয় যাতে শান্তি বজায় থাকে এবং উত্তেজনা আর না বাড়ে। আমাদের প্রত্যাশা, যেকোনো সমস্যার সমাধান আলোচনার মাধ্যমে হওয়া উচিত।'

Comments

The Daily Star  | English

Lives on hold: Workers await reopening of closed jute mills

Five years on: Jute mill revival uneven, workers face deepening poverty

15h ago