‘ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন, একদিনও এদিক-সেদিক হওয়ার সুযোগ নেই’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তার একদিনও এদিক-সেদিক হওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে আবারও নিশ্চয়তা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এই কথা বলেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের 'পদত্যাগ' বিষয়ে রিজওয়ানা হাসান বলেন, 'প্রধান উপদেষ্টা যদি কোনো সিদ্ধান্ত নেন কোনো ব্যাপারে, আমি প্রথম থেকেই বলে এসেছি- তিনি একটা সময় দিয়েছেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন, তার একদিনও এদিক-সেদিক হওয়ার কোনো সুযোগ আমাদের পক্ষ থেকে নেই। কাজেই এগুলো নিয়ে অন্য ধরনের কোনো কথা বলারও কোনো সুযোগ থাকা উচিত ছিল না। কারণ বারবারই বলা হচ্ছে যে, একটা সময়সীমা দিয়ে দেওয়া হয়েছে।'

'এখন কিছু কিছু গুরুদায়িত্ব আছে, সেগুলো পালনের সঙ্গেও তো মাসের একটা সম্পর্ক থাকতে পারে। তার (প্রধান উপদেষ্টা) যদি কিছু বলার থাকে, আমি নির্বাচনের প্রশ্নেও বলেছি, অন্য দায়িত্ব পালনের প্রশ্নেও বলেছি, সেটা তার কাছ থেকেই শুনবেন', বলেন তিনি।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, 'আমাদের এই দায়িত্ব জাতীয় দায়িত্ব। আমরা আগে থেকেই বলছি যে, আমরা ক্ষমতাই নেই, দায়িত্বে আছি। এই দায়িত্ব তখনই পালন করা সম্ভব হবে, যখন আমরা সকলের সহযোগিতা পাবো। প্রত্যাশার বিষয়টি এক, আর দায়িত্ব পালনের বিষয়টি আরেক। প্রত্যাশা অনেকই থাকতে পারে, কিন্তু আমাদের তো উপযুক্ত পরিবেশ থাকতে হবে প্রত্যাশা পূরণের।'

'আমরা চিন্তা করছি যে, আসলে আমরা দায়িত্ব পালন করতে পারছি কিনা। এই যে প্রতিবন্ধকতাগুলো হচ্ছে- বড় দাগে আমাদের তিনটা দায়িত্ব পালন করার জন্য, এই প্রতিবন্ধকতাগুলো আমরা কীভাবে মোকাবিলা করব, আদৌ মোকাবিলা করতে পারব কিনা, যদি মোকাবিলা করতে পারি কীভাবে করব, যদি মোকাবিলা করতে না পারি, তাহলে আমাদের কী করণীয় হবে', বলেন তিনি।

কোনো চাপে আছেন কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এই উপদেষ্টা বলেন, 'চাপ মানে কী, আমরা পারফর্ম করতে পারছি কিনা, আমাদের বিবেচনা-বিবেকে সেটাই একমাত্র চাপ। এর বাইরে আর কোনো চাপ- যেমন: আপনি সচিবালয় থেকে যমুনায় মিটিংয়ে যাবেন, কিন্তু যেতে পারবেন না। কেন? রাস্তা বন্ধ। অনেক সমস্যা এমন আছে, যা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করলেই হয়তো সমাধান করা যায়।'

'আমরা যদি দায়িত্ব পালন করতে পারি, তাহলেই আমাদের দায়িত্বে থাকা প্রাসঙ্গিক। আর যদি না পারি, আমাদের যার যার নিজস্ব অনেক কাজ আছে, তাহলে দায়িত্ব পালন করা আর প্রাসঙ্গিক থাকলো কিনা', বলেন তিনি।

দায়িত্ব পালন করতে পারছেন কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, 'আমরা অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে অনেক দূর এগিয়েছি। সংস্কার কমিশনগুলো রিপোর্ট দিয়েছে, সেই রিপোর্টের ওপর রাজনৈতিক ঐক্য গড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, সকল রাজনৈতিক দল সেখানে অংশগ্রহণ করছে। এটা কি দায়িত্ব পালন করতে পারা না? আমরা নির্বাচনের সময়সীমা বলে দিয়েছি, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে অবশ্যই নির্বাচন হবে। সেটাও একটা পারা।'

'আরেকটা হচ্ছে বিচার, ট্রাইব্যুনাল একটা ছিল, এখন দুটি হয়েছে। আগামীকাল থেকে ট্রায়ালের আনুষ্ঠানিক পর্যায় শুরু হবে। কিন্তু কাজটি যেন নির্বিঘ্নে হয়। এগুলোতে যেন প্রতিবন্ধকতা না আসে, সেটা প্রথম থেকেই আমাদের আহ্বান ছিল। এখন এই কাজগুলো আমরা সকলের সহযোগিতায় সঠিক প্রক্রিয়ায় শেষ করতে চাই', বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Violence against women, children: Over 35,000 cases unresolved for over 5 years

More than nine years have passed since a case was filed over the rape of a nine-year-old schoolgirl in Dhaka’s Khilkhet area. The tribunal dealing with the case has framed charges against the lone accused and held 96 hearings but is yet to complete the trial.

11h ago