ঘোষণা ছাড়াই সচিবালয়ে সাংবাদিক প্রবেশ বন্ধ

আজ সচিবালয়ের মূল ফটকের সামনের চিত্র। ছবি: বাহরাম খান/স্টার

কর্মচারীদের বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সচিবালয়ে দর্শনার্থী প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও সংবাদকর্মীদের ব্যাপারে আগাম কোনো নির্দেশনা ছিল না।

কিন্তু আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহের কাজে এসে সচিবালয়ে ঢুকতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছেন। তাদের কাউকে সেখানে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

তবে সচিবালয়ের বর্তমান কর্মচারীদের পাশাপাশি বিভিন্ন সভায় আমন্ত্রিতরা সচিবালয়ে ঢুকতে পারছেন। কার্ড নিয়ে ঢুকছেন অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীরাও।

সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ প্রত্যাহারের দাবিতে আজ টানা চতুর্থদিনের মতো বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল সচিবালয়ের কর্মচারীরা।

এদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দেখা যায়, সচিবালয়ের ২ নম্বর ফটকে বিশেষায়িত বাহিনী সোয়াট ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া সচিবালয়ের চারপাশে এপিবিএন, র‍্যাবসহ বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের দেখা গেছে। মূল ফটকের বিপরীতে দুটি এপিসি রাখা আছে।

গতকাল সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, আজ সচিবালয়ে সব ধরনের দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ থাকবে।

সাংবাদিকরা কেন ঢুকতে পারছেন না—এমন প্রশ্নের জবাবে সচিবালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার বিল্লাল হোসেন সকাল পৌনে ১১টার দিকে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি উপরের নির্দেশ পালন করছি'।

এর বাইরে কিছু বলতে রাজি হননি পুলিশের এই কর্মকর্তা। এছাড়া কখন থেকে সাংবাদিকদের সচিবালয়ে ঢুকতে দেওয়া হবে- সে ব্যাপারেও স্পষ্ট করে কেউ কিছু বলতে পারেননি।

আজও আন্দোলন চলছে

সচিবালয়ের ভেতরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে কর্মচারীরা আজও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

৪ নম্বর ভবনের এক কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডেইলি স্টারের এ প্রতিবেদককে টেলিফোন করে জানান, সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ আশ্বাস না পেলে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। তার দাবি, গত তিনদিনের থেকে আজ উপস্থিত কর্মচারীদের সংখ্যা বেশি।

গত বৃহস্পতিবার 'সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫'- এর প্রস্তাবিত খসড়া উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের পর রোববার থেকে তা কার্যকর হয়।

দাপ্তরিক কাজে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী কর্মচারীদের তদন্ত ছাড়াই দুই দফায় ১৪ দিনের নোটিশে কঠোর শাস্তি   দেওয়া যাবে— অধ্যাদেশে এমন বিধান যুক্ত করেছে সরকার।

এই বিষয়টিকে নিবর্তনমূলক উল্লেখ করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছেন কর্মচারীরা।

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

7h ago