‘পুশ ইন’ ঠেকাতে কুড়িগ্রাম সীমান্তে রাতভর পাহারা এলাকাবাসীর

ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের 'পুশ ইন' ঠেকাতে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার সীমান্তে রাত জেগে পাহারা দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
শুক্রবার রাত ৮টা থেকে শনিবার ভোর ৫টা পর্যন্ত কেদার ইউনিয়নের শোভারকুটি ও শিপেরহাট সীমান্তে রাতজেগে পাহারা দিতে দেখা যায় তাদেরকে। এ সময় বিজিবি ও আনসার-ভিডিপি সদস্যরাও সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে ছিলেন।
স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারতের আসামের ধুবড়ি জেলার গোলকগঞ্জ থানার বিএসএফ সদস্যরা দুটি পিকআপে করে ৫০-৬০ জন মানুষকে এনে বাংলাদেশের সীমানা থেকে কয়েকশ মিটার দূরে ফাইস্কারকুটি গ্রামের একটি স্কুল মাঠে রাখে। পরে রাতের অন্ধকারে সীমান্তের বৈদ্যুতিক আলো নিভিয়ে বিএসএফ ওইসব মানুষকে বাংলাদেশে পুশইন করার চেষ্টা করে।
এই খবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের গ্রাম থেকে শত শত মানুষ বাঁশের লাঠি হাতে সীমান্তে জড়ো হয়ে রাতভর পাহারা দেন।
শোভারকুটি সীমান্তের বাসিন্দা নূর হক (৪৫) বলেন, 'রাত ৮টা থেকে ভোর পর্যন্ত জেগে ছিলাম। আমার মতো অনেকেই বাঁশের লাঠি হাতে সীমান্তের কাছাকাছি ছিলেন। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আমরা বিজিবিকে সহায়তা করেছি।'
শিপেরহাট সীমান্ত এলাকার কৃষক মোক্তার আলী (৬৫) জানান, 'বিএসএফ যাদের জড়ো করেছে তারা এখনো ভারতীয় সীমান্তের কাছে রাখা হয়েছে। সুযোগ পেলে ওদেরকে বাংলাদেশে ঠেলে দিতে পারে। আমরা বিজিবির পাশে আছি।'
কচাকাটা ও কেদার বিজিবি ক্যাম্পের সদস্য এবং আনসার ভিডিপির কয়েকটি দল রাতভর টহল দেয়। বিএসএফ সদস্যরাও সীমান্তের ভারতীয় অংশে অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে তারা কয়েক দফা বিজিবির সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও বিজিবি তাতে সাড়া দেয়নি। পরে রাত ৩টার দিকে বিএসএফ সদস্যরা শূন্য রেখা থেকে সরে যায়।
কুড়িগ্রাম বিজিবি ২২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মাহাবুব উল হক বলেন, 'বিএসএফ যেন অবৈধভাবে কাউকে বাংলাদেশে ঠেলে দিতে না পারে সেজন্য আমরা সতর্ক আছি। স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে সীমান্তে যৌথভাবে পাহারা ও টহল জোরদার করা হয়েছে।'
Comments