টানা বৃষ্টিতে নাকাল হলেও চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ নেই

চট্টগ্রামে মঙ্গলবার সকাল থেকে টানা পঞ্চম দিনের মতো কখনো টানা, কখনো থেমে থেমে বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে। এতে কোথাও দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতা দেখা না দিলেও নগরবাসীর দৈনন্দিন কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে। নাকাল হচ্ছেন খেটে খাওয়া মানুষেরা।
সকালে টানা বৃষ্টির কারণে অফিসগামী মানুষ, কোচিং সেন্টারে যাওয়া শিক্ষার্থী এবং প্রয়োজনীয় কাজে ঘরের বাইরে আসা অন্যদেরও সমস্যায় পড়তে হয়।
বৃষ্টির সময় আগ্রাবাদ পাঠানটুলি, কাপ্তাইগোলা, চকবাজার, জিইসি মোড়, কাতালগঞ্জ এবং অক্সিজেন মোড়সহ অনেক এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। প্রায় থমকে যায় যান চলাচল।
তবে বৃষ্টি ধরে আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই এসব এলাকা থেকে জমে থাকা পানি সরে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
পাঠানটুলি এলাকার বাসিন্দা ফজলুর রহমান জানান, বৃষ্টির মধ্যে সকাল পৌনে ৯টার দিকে অফিস যাওয়ার পথে তিনি কোনো যানবাহন পাচ্ছিলেন না। এ অবস্থায় হাঁটুপানি ভেঙে তাকে যেতে হয়।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মাহমুদুল আলম জানান, মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত চট্টগ্রামে ৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এই আবহাওয়াবিদ বলেন, সক্রিয় মৌসুমী বায়ু এবং বঙ্গোপসাগরে একটি গভীর নিম্নচাপের কারণে এমন টানা বৃষ্টি হচ্ছে; যা আগামী ২৪ ঘণ্টাতেও অব্যাহত থাকতে পারে।
টানা বৃষ্টিপাতের কারণে আবহাওয়া অফিস পাহাড়ি এলাকায় সম্ভাব্য ভূমিধসের ব্যাপারে সতর্ক করেছে। স্থানীয় প্রশাসনকেও সতর্ক করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভূমিধসপ্রবণ এলাকায় মাইকিং করার পাশাপাশি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পাহাড়ের কাছাকাছি বসবাসকারী লোকজনকে নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে বলা হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ডিসি কার্যালয়ের স্টাফ অফিসার ফাহমুন নবী বলেন, মাইকিং অব্যাহত আছে।
Comments