পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও সীমান্ত দিয়ে ৩৯ জনকে ‘পুশ ইন’ বিএসএফের

প্রতীকী ছবি

পঞ্চগড় সদর এবং ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলা দিয়ে বাংলাদেশে পুশ ইন করা ৩৯ জনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তাদের পুশ ইন করে।

আজ মঙ্গলবার ভোরে পঞ্চগড়ে ২৬ জনকে আটক করা হয়।

নীলফামারীর বিজিবি-৫৬ ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, পুশ ইনের পরপরই শিংরোড এবং জয়ধরভাঙ্গা সীমান্ত ফাঁড়ির (বিওপি) সদস্যরা তাদের আটক করে।

তিনি জানান, দিল্লির বিভিন্ন স্থান থেকে ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে এবং পরে বিএসএফ-৯৩ ব্যাটালিয়নের কাছে হস্তান্তর করে। বিএসএফ পরবর্তীতে তাদের পুশ ইন করে।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা নিশ্চিত করেছেন, আটককৃত সবাই বাংলাদেশি।

এই ২৬ জনের মধ্যে ১৭ জনকে শিংরোড সীমান্তের কাছে এবং নয়জনকে জয়ধরভাঙ্গার কাছ থেকে আটক করা হয়েছে।

তাদের মধ্যে ২১ থেকে ৫৫ বছর বয়সী সাতজন পুরুষ, ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সী নয়জন নারী এবং ১৮ মাস থেকে ১০ বছর বয়সী ১০ জন শিশু রয়েছে। তাদের সবাই কুড়িগ্রামের বাসিন্দা। বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে তারা ভারতে প্রবেশ করেছিলেন বলে বিজিবি কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার ফকিরগঞ্জ সীমান্তে ৩৪১/৩-এস নম্বর পিলারের কাছ থেকে পুশ ইন করা আরও ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে।

দিনাজপুরের বিজিবি-৪২ ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুল্লাহ আল মঈন হাসান জানান, ফকিরগঞ্জ বিওপির সদস্যরা তাদের আটক করেছে।

বিএসএফ-৬৩ ব্যাটালিয়নের কাছে হস্তান্তরের আগে তাদেরকে দিল্লি থেকে আটক করা হয়।

আটক ১৩ জনের মধ্যে ৩১ থেকে ৩৯ বছর বয়সী তিনজন পুরুষ, ২৩ থেকে ২৫ বছর বয়সী তিনজন নারী এবং ৩ থেকে ১০ বছর বয়সী সাতজন শিশু রয়েছে। তাদের বাড়ি কুড়িগ্রামে। বিভিন্ন সময়ে তারা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন বলে জানান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুল্লাহ আল মঈন।

তিনি বলেন, 'আটক ১৩ জনই বাংলাদেশি নাগরিক বলে শনাক্ত করা হয়েছে।'

আটককৃতদের পঞ্চগড় সদর ও পীরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিজিবি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় পৃথক সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
AI-manipulated image of Shahbagh engineering students’ protest, DMP claims

Debunking DMP claim, frame by frame

The Daily Star photographer, who was present at the scene, described the incident as it unfolded

1h ago