চিলমারী-রৌমারী রুটে আবারও ফেরি চলাচল বন্ধ

চিলমারী ঘাট। ছবি: স্টার

নদীর পানি বেড়ে ঘাটের সংযোগ সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী রুটে ফেরি চলাচল আবারও বন্ধ হয়ে গেছে।

এতে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরে ফেরা যাত্রীরা পড়েছেন ভোগান্তিতে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) জানিয়েছে, ঘাটের সংযোগ সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসির চিলমারী নৌবন্দর কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ২৩ ডিসেম্বর ব্রহ্মপুত্রে নাব্যতা সংকট দেখা দিলে এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করা হয়। চলতি বছরের ২২ মে পানি বাড়ার পর ফেরি চলাচল পুনরায় চালু হয়। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই পানি বেড়ে যাওয়ায় চিলমারী ও রৌমারী ঘাটের সংযোগ সড়ক ডুবে যায়, ফলে আবার ফেরি বন্ধ করা হয়।

ফেরি বন্ধ থাকায় ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় করে ব্রহ্মপুত্র নদ পাড়ি দিতে হচ্ছে যাত্রীদের। তারা বলছেন, ফেরি চলাচল বন্ধের সুযোগে নৌকার মাঝিরা ইচ্ছেমতো ভাড়া নিচ্ছেন

নারায়ণগঞ্জ থেকে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে বাড়ি ফেরা যাত্রী মনসুর আলী বলেন, 'ফেরিতে জনপ্রতি ভাড়া ছিল ২০ টাকা। এখন নৌকায় দিতে হয়েছে ১৫০ টাকা। ছোট ছেলেমেয়ে নিয়ে নৌকায় ব্রহ্মপুত্র পাড়ি দেওয়া কতটা ভয়ংকর ছিল তা ভাষায় বোঝানো যাবে না। ফেরি বন্ধ থাকবে জানলে অন্য রুটে যেতাম।'

আরেক যাত্রী রফিকুল ইসলাম বলেন, 'সাধারণ সময় নৌকায় ১০০ টাকায় পার হতাম, এখন ১৫০ টাকা চাইছে। যারা নিয়মিত যাতায়াত করেন তাদের কাছ থেকেও বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় তারা বাধ্য হয়ে বেশি ভাড়া দিয়ে পার হচ্ছেন।'

চিলমারীর রমনা ঘাটের চেইন মাস্টার সিদ্দিক আলী বলেন, 'নৌকায় জনপ্রতি ভাড়া ১০০ টাকা নির্ধারিত, তবে ঈদের সময় মাঝিরা ৫০ টাকা 'বকশিশ' নিচ্ছেন।

তিনি বলেন, সাধারনত এই রুটে প্রতিদিন গড়ে ১২০০-১৩০০ যাত্রী যাতায়াত করেন কিন্তু ঈদের সময় তা চার হাজার জনে পৌঁছায়।

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসির চিলমারী ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) প্রফুল্ল চৌহান জানান, ব্রহ্মপুত্রে পানি বাড়ায় দুই তীরের ঘাট তলিয়ে গেছে। স্থায়ীভাবে বর্ষা ও শুষ্ক মৌসুমে ব্যবহারের জন্য পৃথক ঘাট নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Trump, Putin in Alaska to end Ukraine war

Donald Trump and Vladimir Putin flew to Alaska yesterday for a high-risk summit that promises a stern test of the US president’s promise to end the bloody war in Ukraine.

4h ago