পাহাড়ি ঢলে রৌমারীর ৩০ গ্রাম প্লাবিত

ভারতের আসাম থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ৩০ গ্রাম। ছবি: সংগৃহীত

উজানে ভারতের আসাম থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের লাল পানিতে প্লাবিত কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ৩ ইউনিয়নের প্রায় ৩০ গ্রাম।

ঢলের পানিতে ২ কূল ছাপিয়েছে রৌমারীর জিনজিরাম, কালুর ও ধরনী নদী। আসাম থেকে এসব নদী বাংলাদেশের রৌমারীতে প্রবেশ করেছে।

আজ রোববার স্থানীয়রা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, গতকাল শনিবার বিকাল থেকে আসাম থেকে পাহাড়ি ঢলের লাল পানি আসছে। গ্রামের রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। গ্রামবাসী নৌকা ও কলাগাছের ভেলায় যাতায়াত করছেন।

যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরবেশ আলী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এই ইউনিয়নে প্রায় এক হাজার বসতভিটায় ঢলের পানি ঢুকে পড়েছে। অনেকে গবাদি পশু ও আসবাবপত্র নিয়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।'

ছবি: সংগৃহীত

বকবান্ধা গ্রামের কৃষক নজির হোসেন (৬৫) ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রায় ৪ বিঘা জমির পাট ও এক বিঘা জমির সবজি এখন পানির নিচে। আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে পানি নেমে না গেলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে।'

রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাইয়ুম চৌধুরী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'উজানে ভারতের আসাম থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের লাল পানি ফসলের জন্য খুব ক্ষতিকর। প্রায় ২০০ বিঘা জমির ফসল এখন পানির নিচে।'

রৌমারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'উপজেলার ২১টি বিদ্যালয় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে ১৩টি বিদ্যালয় যাদুরচর ইউনিয়নে। পানিবন্দি এলাকার বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে।'

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পাহাড়ি ঢল সীমান্তবর্তী ৩ নদী দিয়ে রৌমারীতে প্রবেশ করেছে। পাহাড় থেকে এসব পানি আসায় এগুলোর রঙ লাল। অনবরত বৃষ্টির কারণে আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে পানি নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা কম।'

রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল আলম রাসেল ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছি। ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারগুলোকে নিরাপদ স্থানে আনা হচ্ছে। তাদের তালিকা করে ত্রাণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Depositors leave troubled banks for stronger rivals

Depositors, in times of financial uncertainty, usually move their money away from troubled banks to institutions with stronger balance sheets. That is exactly what unfolded in 2024, when 11 banks collectively lost Tk 23,700 crore in deposits.

9h ago