ঐকমত্য কমিশনের সভায় যোগ দেয়নি জামায়াত

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলের মধ্যে দ্বিতীয় পর্বের আলোচনায় অংশগ্রহণ করেনি বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামী।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আলোচনা শুরু হওয়ার পর দেখা যায় বিএনপি ও এনসিপির মাঝে নির্ধারিত জামায়াতের আসনগুলো খালি।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার তাদের অনুপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করলেও, তারা কেন উপস্থিত হননি, তার কোনো ব্যাখ্যা দেননি।
এনসিপির এক নেতা জানান, জামায়াত আগেই জানিয়ে দিয়েছিল তারা আজকের সভায় যোগ দেবে না।
জামায়াত সূত্র জানায়, প্রধান উপদেষ্টা সম্প্রতি লন্ডনে বিএনপির শীর্ষ নেতার সঙ্গে বৈঠকের পর যৌথভাবে নির্বাচনের তারিখ ফেব্রুয়ারিতে এগিয়ে নিয়ে আসায় জামায়াত মনে
করছে তাদের উপেক্ষা করা হচ্ছে। বিষয়টি ঐকমত্য কমিশনকেও জানানো হয়েছে।
এদিকে ঐকমত্য কমিশন সূত্র জানায়, কমিশনের পক্ষ থেকে জামায়াতকে দ্বিতীয় পর্বের আলোচনায় উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছিল।
এর আগে, কমিশনের প্রথম পর্বের আলোচনায় জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব করেন দলটির নায়েবে আমীর সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
ঈদুল আজহার আগে ৩ জুন অনুষ্ঠিত আলোচনায় দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খান ও হামিদুর রহমান আজাদ উপস্থিত ছিলেন সভায়।
আজকের সভায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য দলগুলো হলো—বিএনপি, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, নাগরিক ঐক্য, গণঅধিকার পরিষদ ও গণসংহতি আন্দোলন।
জামায়াতের আলোচনায় যোগ না দেওয়া প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, 'কেন জামায়াত আলোচনায় যোগ দেয়নি সেই উত্তর কমিশনই ভালো দিতে পারবে।'
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, 'আমরা যতদূর জানি জামায়াত আজকের বৈঠক প্রতীকী বয়কট করেছে। ঐকমত্য কমিশনের আজকের আলোচ্য বেশ কয়েকটি বিষয়ে জামায়াত হয়তো একমত হতে পারেনি। তাই আলোচনায় অংশ নেয়নি।'
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান বলেন, 'গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল হিসেবে আজকের আলোচনায় জামায়াতের থাকা উচিত ছিল। তারা এই আলোচনা বয়কট করেছে কিনা সে বিষয়ে পরিষ্কার কিছু জানায়নি।'
তবে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, তারা জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। আগামীকালের আলোচনায় দলটি অংশ নিতে পারে।
Comments