স্থানীয়দের বাধায় বাঁকখালী নদীর তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পণ্ড

স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধায় কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়া এলাকায় বাঁকখালী নদীর তীরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বিভিন্ন স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ।

আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিআইডব্লিউটিএ অভিযান পরিচালনা করতে গেলে শতাধিক মানুষ তীব্র প্রতিবাদ করেন।

এ সময় নুনিয়াছড়া, সমিতিপাড়া, টেকপাড়া ও পেশকারপাড়ার বাসিন্দারা রাস্তায় নেমে আসেন। তারা টায়ার জ্বালিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা প্রধান সড়ক অবরুদ্ধ করে রাখেন।

পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সেনা সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে কক্সবাজার-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি নেতা লুৎফর রহমান কাজল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আন্দোলনকারীদের সরে যেতে রাজি করান।

গত ২৪ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগ বাঁকখালী নদীর তীরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনা চিহ্নিত করে উচ্ছেদের আদেশ দেন। অবৈধ দখলদার চিহ্নিত ও উচ্ছেদ করতে সরকারকে চার মাস সময় দেন আদালত। এরপর গত সোমবার বিআইডব্লিউটিএ ও যৌথ বাহিনী উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে।

অভিযানের পঞ্চম দিনে আজ নুনিয়াছড়ায় বুলডোজার চালানোর কথা ছিল। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রধান সড়কেই বিআইডব্লিউটিএ ও যৌথ বাহিনীকে আটকে দেন।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন বিআইডব্লিউটিএর বন্দর বিভাগের পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন। তিনি অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিয়ে সরে যান।

পরবর্তীতে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কাজল বলেন, নদীর সীমানা স্পষ্টভাবে নির্ধারণের পরই উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানো উচিত।

'আমরা হাইকোর্টের আদেশকে সম্মান করি। তবে কর্তৃপক্ষকে জনগণের কাছে রায়টি ব্যাখ্যা করতে হবে এবং তাদের পরিকল্পনা পরিষ্কার করতে হবে,' বলেন তিনি।

অভিযানের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে পেশকারপাড়ার বাসিন্দারা উচ্ছেদ অভিযানে বাধা দিয়েছিলেন।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস খান জানান, অভিযানে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ৬৫০ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

BNP says ‘no’ to constitutional reforms under interim govt

The BNP has said it will not support any constitutional reforms before the national election in February 2026, arguing that such changes must be made by the next parliament.

5h ago