লাইন স্থাপন শেষ, পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলবে ৪ এপ্রিল

সর্বশেষ বাকি থাকা ৭ মিটার পথ ঢালাই দেওয়ার মধ্য দিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পদ্মা সেতুর ওপর রেলপথ নির্মাণের কাজ শেষ হলো।
বুধবার বিকেলে সর্বশেষ বাকি থাকা ৭ মিটার পথ ঢালাই দেওয়ার মধ্য দিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পদ্মা সেতুর ওপর রেলপথ নির্মাণের কাজ শেষ হলো। ছবি: সংগৃহীত

পদ্মা সেতুতে পাথরবিহীন ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ৪ এপ্রিল রেলমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পরীক্ষামূলকভাবে সেতুতে রেল চলবে।

আজ বুধবার বিকেলে সর্বশেষ বাকি থাকা ৭ মিটার পথ ঢালাই দেওয়ার মধ্য দিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পদ্মা সেতুর ওপর রেলপথ নির্মাণের কাজ শেষ হলো।

বিকেল পৌনে ৫টার দিকে পদ্মা সেতুর ওপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন রেললিংক প্রকল্পের পরিচালক আফজাল হোসেন।

তিনি বলেন, 'আজ বিকেলে ৭ মিটারের বাকি থাকা প্যানেলটি ঢালাইয়ের পর পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ কাজ শেষ হলো। এই কাজটি শেষ করতে পেরেছি বলে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। গত বছরের নভেম্বরের ২০ তারিখ আমরা কাজটি শুরু করেছিলাম। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ মাসের মধ্যে মূল সেতুতে রেলপথ নির্মাণের কাজ শেষ করব।'

পদ্মা সেতুর রেল লিংক প্রকল্পের মাওয়া-ভাঙ্গা অংশের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ব্রিগেডিয়ার সাঈদ আহম্মেদ বলেন, '৪ এপ্রিল রেলমন্ত্রী আমাদের সময় দিয়েছেন। সেদিন আমরা গ্যাংকার দিয়ে ভাঙ্গা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৪১ কিলোমিটার রেলপথ পরীক্ষা করে দেখবো। এপথে ডিজাইন-স্পিড ১২০ কিলোমিটার থাকলেও আমরা ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে পরীক্ষামূলক টেস্ট-রান চালানো হবে।'

পদ্মা সেতু রেললিংক প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় রেল লিংক প্রকল্পের অধীনে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পের ঠিকাদার চীনের চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (সিআরইসি)। এই প্রকল্পের কাজ তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে—ঢাকা থেকে মাওয়া, মাওয়া থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর।

Comments