ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির সমাবেশে আ. লীগের হামলার অভিযোগ, আহত অন্তত ১০

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১০-১২ জন আহত হয়েছেন।
বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের হামলা। ছবি: সংগৃহীত

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১০-১২ জন আহত হয়েছেন।

আজ বুধবার বিকেলে উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

বিএনপি সূত্র জানায়, জ্বালানি তেলসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বিকেলে উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ চলাকালে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালান। এতে উপজেলা শ্রমিক দলের উজ্জ্বল, সোহেল, শফিকুল, ছাত্রদলের মোশাররফ, সাদ্দাম ও যুবদলের মাসুদ রানা এবং বিএনপির আমিরুল ইসলামসহ ১০-১২ জন আহত হন।

সেসময় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সমাবেশ স্থলের চেয়ার-টেবিল ও আশপাশের কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর করেছেন বলেও বিএনপি সূত্রে জানা গেছে।

ছবি: সংগৃহীত

তবে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সমাবেশে জেলা মহিলা দলের নেত্রী ফোরাতুন নাহার স্থানীয় সংসদ সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিতে শুরু করলে আশপাশে থাকা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরে জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমানের বক্তব্যের শুরুতেই আওয়ামী লীগের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা সমাবেশে হামলা করেন।

এসময় জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়লে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে জেলা শহরে ফিরতে সহায়তা করে।  

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক টিএম মাহবুবুর রহমান দাবি করেছেন, হামলায় তাদের প্রায় ৫০ জনের মতো কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন।

তিনি বলেন, 'সেসময় ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও, তারা আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের আটকানোর চেষ্টা করেনি।'

জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশ চলছিল। আমার বক্তব্যের শুরুতেই আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়।'

তবে বিএনপির অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বালিয়াডাঙ্গী-হরিপুরের সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলাম এই এলাকা থেকে ৭ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। বিএনপির মধ্যেও তার অনেক ভক্ত আছে। দবিরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্যের কারণে সমাবেশে উপস্থিত লোকজনই এর প্রতিবাদ করেছে। হামলার সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।'

বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আনাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিএনপির এক নেত্রীর বক্তব্য নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। পরে পুলিশ নিয়ন্ত্রণ নেয়। এখন পরিবেশ শান্ত আছে।'

  

Comments