বিএনপি নেতারা কি শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চান: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বিএনপি নেতারা বলেন বাংলাদেশ থেকে তারা পাকিস্তান আমলে ভালো ছিলেন। তাই তারা বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্র করছেন। তাদের এ ষড়যন্ত্রের জবাব আগামী জাতীয় নির্বাচনে ব্যালটের মাধ্যমে দেওয়া হবে।
শরীয়তপুর সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। ছবি: স্টার

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বিএনপি নেতারা বলেন বাংলাদেশ থেকে তারা পাকিস্তান আমলে ভালো ছিলেন। তাই তারা বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্র করছেন। তাদের এ ষড়যন্ত্রের জবাব আগামী জাতীয় নির্বাচনে ব্যালটের মাধ্যমে দেওয়া হবে।

আজ সোমবার দুপুরে শরীয়তপুর সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি নেতারা দেশটাকে পাকিস্তান বানাতে চায়। তারা চায় এ দেশের জনগণ আবারও দাসত্বে ফিরে যাক। তারা মনে মনে বাংলাদেশকে পাকিস্তান বলে, আফসোস যে তারা তা প্রকাশ করতে পারে না। মুক্তিযোদ্ধাসহ বাংলাদেশের মানুষ নৌকায় ভোট দিয়ে বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করে এর জবাব দেবে।'

দেশবাসীকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মোজাম্মেল হক বলেন, 'কোন মানদণ্ডে পাকিস্তান ভালো ছিল, জাতির সামনে বিএনপি তা তুলে ধরুক। "৭৫-এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার" এ কথা দিয়ে কী বুঝাতে চাইছে বিএনপি? তারা কী আবার বঙ্গবন্ধুর রক্তের ছিটেফোঁটা যা আছে তা শেষ করে দিয়ে আজকের সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চান? তাদের উদ্দেশ্য কী? তা জাতির সামনে পরিষ্কার করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধারা প্রয়োজনে আবারও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নেতৃত্ব দেবেন।'

এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, 'রাজাকারদের তালিকা প্রস্তুতের কাজ শেষপর্যায়ে। শিগগির দেশের সব রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করা হবে।'

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আরও বলেন, 'দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে সরকার। প্রত্যেক জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নির্মিত প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে ক্যাপসুল লিফট বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে বন্ধ থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নির্মাণাধীন ঘরগুলোর নির্মাণ কাজ দ্রুততম সময়ের মধ্যে শুরু করা হবে। প্রত্যেক বীর মুক্তিযোদ্ধার কবর একই নকশায় পাকা করে বাধাই করা হবে। ইতোমধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মার্ট আইডি কার্ড প্রস্তুত করা হয়েছে।'

মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান। সেসময় উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর ১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, শরীয়তপুর ৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মো. সাইফুল হকসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

পরে জাজিরা উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের আরও একটি ভবনের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।

Comments

The Daily Star  | English

Half of Noakhali still reeling from flood

Sixty-year-old Kofil Uddin watched helplessly as floodwater crept into his home at Bhabani Jibanpur village in Noakhali’s Begumganj upazila on August 10. More than a month has passed, but the house is still under knee-deep water.

4h ago