‘ছাত্রলীগের হামলায় ছাত্রদলের ৭ নেতার অবস্থা গুরুতর, আশঙ্কাজনক ২’

কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ছাত্রদলের আহত নেতাদের দেখতে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলায় ছাত্রদলের আহত নেতাদের হাসপাতালে দেখতে গিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ বুধবার দুপুরে তিনি কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান এবং চিকিৎসকদের কাছ থেকে তাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন।

সেসময় মির্জা ফখরুল বলেন, 'ছাত্রলীগের হামলায় ছাত্রদলের ১৫ নেতা গুরুতর জখম হয়েছে। এই হাসপাতালে ৭ জন ভর্তি আছে। তাদের অবস্থা গুরুতর। তাদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।'

তিনি বলেন, 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রলীগের বর্বরোচিত ও মধ্যযুগীয় কায়দায় এই হামলার মধ্যদিয়ে প্রমাণিত হলো আওয়ামী লীগ একটি সন্ত্রাসী দল। ছাত্রলীগ তাদের পেটুয়া বাহিনী। সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে তারা সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।'

এসময় বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক হারুন আল রশিদ, মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।

এরপর বিএনপি মহাসচিব ধানমন্ডিতে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালে মুন্সিগঞ্জের সমাবেশে পুলিশি হামলায় আহত জাহাঙ্গীরকে দেখতে যান।

গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাত করতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ। এতে সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল আমিনুল, তরিকুল ইসলাম তারিক, ফারহান মো. আরিফুর রহমান, নাসির উদ্দিন শাওন, রাজু আহমেদ, সুপ্রিয় দাশ শান্ত, নাজমুস সাকিব, সহ-সাধারণ সম্পাদক মুন্সি সোহাগ, প্রচার সম্পাদক ইমাম আল নাসের মিশুক, আন্তর্জাতিক সম্পাদক জসিম খান, বিজয় একাত্তর হলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাইফ খান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আকিব জাবেদ রাফি, সলিমুল্লাহ হলের জুবায়ের আহমদ ও কবি জসিমউদ্দিন হলের কর্মী জোসেফ আল জুবায়ের গুরুতর আহত হন।

Comments

The Daily Star  | English

Hasina’s final days before the fall

A desire for power, intolerance for dissent, and failure to see the writing on the wall undid Hasina's iron-fisted rule

12h ago