‘চট্টগ্রামের মহাসমাবেশ আন্দোলনের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে’

আওয়ামী লীগের উসকানির ফাঁদে পা না দিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আগামীকাল বুধবার চট্টগ্রামে বিভাগীয় মহাসমাবেশ সফল করতে তিনি সবাইকে ধৈর্য ধারণ করতে বলেন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের উসকানির ফাঁদে পা না দিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

বুধবার চট্টগ্রামের পোলোগ্রাউন্ড মাঠে বিভাগীয় মহাসমাবেশ সফল করতে সবাইকে ধৈর্য ধারণ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আগামীকালের জনসমাবেশ অন্যতম বৃহৎ জনসমাবেশ হবে এবং বাংলাদেশের আন্দোলনের ইতিহাসে তা মাইলফলক হয়ে থাকবে।

আজ মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রামের নুর আহমদ সড়কের নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয়ে মহাসমাবেশের প্রস্তুতি বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে মহাসমাবেশ করবে বিএনপি।

মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে চাপ আছে কিনা জানতে চাইলে আমির খসরু বলেন 'বিএনপির নেতা-কর্মীরা এখন জ্বলে পুড়ে খাঁটি সোনায় পরিণত হয়েছেন। এটা তারা প্রমাণও করেছেন। কত ধরনের বাধা বিপত্তি আছে, কত ধরনের চাপ আছে, সব কিছু উপেক্ষা করে তারা মহাসমাবেশ সফল করতে এগিয়ে যাচ্ছেন। আজকে একটা 'রেজিম' আছে, এটাকে তো আর সরকার বলা যায় না। এই রেজিমে আওয়ামী লীগ একটি অংশ। তারাও বুঝতে পারছে, জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।'

'আমরা যেভাবে এগোচ্ছি, সেভাবেই শান্তিপূর্ণ, আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে বিপুল জনসমাগমের মাধ্যমে মহাসমাবেশ শেষ হবে ইনশাল্লাহ। আমাদের শক্তি ক্ষয় করার জন্য অনেকে অনেক গুজব ছড়াবে তাতে কান দিবেন না। আমাদের পূর্ণমাত্রায় ধৈর্য ধরতে হবে। কেউ উষ্কানিতে মাথা ঘামাবেন না। জনগণের বাঁধভাঙা জোয়ার যেখানে নামে সেখানে কেউ বাধা দিতে পারবে না,' নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

'অনেক গুজব হবে, উস্কানি হবে একেবারে কান বন্ধ রাখবেন। জনগণের শক্তি বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না,' বলেন তিনি।

বুধবারের মহাসমাবেশ বাংলাদেশের আন্দোলনের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে দাবি করে এই বিএনপি নেতা বলেন, 'দেশের সমস্ত বিভাগে জনগণের মুক্তির যে জাগরণ উঠেছে, আমাদের নেতা-কর্মীরা এতে উজ্জীবিত। মহাসমাবেশ সফল করতে সবাই যার যার এলাকায় মাঠে আছেন। জনগণের উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখে আমরা চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় পলোগ্রাউন্ড মাঠে সমাবেশ ডেকেছি।'

'সমাবেশের নামে নৈরাজ্য করলে দাঁতভাঙ্গা জবাব'- আওয়ামী লীগের এই হুঁশিয়ারি সম্পর্কে তিনি বলেন 'বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীই আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করবে, কোনো দলের সেটি করার অধিকার নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেন তাদের কাজ করেন কোনো দলকে সেটি করার সুযোগ দিবেন না।'

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন 'আমাদের পক্ষ থেকে বলা আছে প্রত্যেকটি সভা শান্তিপূর্ণ করতে। আমাদের জনগণকে নিয়ে রাজনীতি। লক্ষ জনতা যেখানে রাস্তায় নামে ওরাতো একেকটা লাঠির চেয়েও শক্তিশালী, চাইনিজ রাইফেলের চেয়েও শক্তিশালী। আমাদের কোনো অস্ত্রশস্ত্র দরকার নেই।'

বেগম খালেদা জিয়াকে আবার কারাগারে পাঠানোর বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'তাদের কথা শুনে মনে হচ্ছে তারা বিচার বিভাগের দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছে। সরকার যদি বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠিয়ে দিতে পারে, তাহলে বাংলাদেশে কি বিচার বিভাগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে নাকি?

বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান ও মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, কেন্দ্রীয় ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানি, চট্টগ্রাম উত্তর জেলার আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার, দক্ষিণের আহবায়ক আবু সুফিয়ান, মহানগরের আহবায়ক শাহাদাত হোসেন ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, নগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Mob justice is just murder

Sadly, when one lynching can be said to be more barbaric than another, it can only indicate the level of depravity of some our university students

1h ago