লোডশেডিং মিউজিয়াম থেকে বেরিয়ে আসলো কীভাবে: খন্দকার মোশাররফ

সারাদেশে ব্যাপক লোডশেডিংয়ে পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুৎখাতে ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন। স্টার ফাইল ছবি

সারাদেশে ব্যাপক লোডশেডিংয়ে পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুৎখাতে ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি এই প্রশ্ন তুলেন।

তিনি বলেন, 'বিদ্যুতের লোডশেডিং। প্রধানমন্ত্রী বললেন, আমি লোডশেডিংকে মিউজিয়ামে পাঠিয়ে দিয়েছে। তো আজকে সেই লোডশেডিং মিউজিয়াম থেকে বেরিয়ে আসল কীভাবে?'

'শহরে, এই ঢাকা শহরে ২৪ ঘণ্টায় কতবার লোডশেডিং হয়, আপনারা ভালো জানার কথা। গ্রাম দেশে তো ১০, ১২ বা ১৪ ঘণ্টা লোডশেডিং হয়। এত লোডশেডিং হলে বিদ্যুৎখাতের এত হাজারো কোটি টাকা গেল কোথায়?', বলেন তিনি।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, 'আপনারা এখনই বলেন, আগামীতে দুর্ভিক্ষ হবে, হারিকেন নিয়ে প্রস্তুত থাকতে বলেন জনগণকে। তাহলে এত টাকা আপনারা বিদেশে পাচার করলেন কেন। তাহলে আপনারা নিজেরা নিজেদেরকে ব্যর্থ বলে আপনারা নিজেরা সাক্ষী দিচ্ছেন।'

'জনগণের কথা হচ্ছে এনাফ ইজ এনাফ। আপনারা দয়া করে বিদায় হোন। আপনারা কিছুই পারবেন না। সবই যদি বিএনপির কারণে হয়, তাহলে আপনারা কেন ক্ষমতায় আছেন? জনগণের দাবি এই সরকারের অনতিবিলম্বে বিদায়।'

তিনি বলেন, 'এই সরকারকে বিদায় না করতে পারলে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না। এই সরকারকে বিদায় করতে না পারলে নির্বাচনকালীন নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা হবে না। তা না হলে নির্বাচন এদেশে সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ হবে না।'

'অতীতেও এই সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। সম্প্রতি গাইবান্ধা উপনির্বাচনও সুষ্ঠু হয়নি। এটা আজকে প্রমাণিত যে, এই সরকারের অধীনে নির্বাচন হয় না, ডাকাতি হয়। সেকারণে আমরা বলেছি যে, এই সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না, নির্বাচনও হবে না।'

সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ের মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উদ্যোগে 'তারেক রহমান: গণতন্ত্রের অগ্রপথিক ছবির অ্যালবাম' শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়।

খন্দকার মোশাররফ আরও বলেন, 'এই সরকারকে না হটালে আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন না। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না।'

'সেজন্য আজ দেখবেন জনগণ জেগে উঠেছে। আমাদের দায়িত্ব জনগণকে সংগঠিত করে এই সরকারকে হটানো, দেশে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা এবং সুষ্ঠু ভোটে এদেশের জনগণের তাদের নিজেদের হাতে ভোটের ব্যবস্থা করাই একমাত্র আমাদের টার্গেট। সেই লক্ষ্যে আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি', যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago