সিট-ভর্তি বাণিজ্য যারা করে তাদের খবর আছে, ক্ষমা নেই: কাদের

আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে যারা অপকর্ম করছেন তাদের সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
quader_10dec21.jpg
ছবি: বাসস

আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে যারা অপকর্ম করছেন তাদের সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নামে অপকর্ম করবেন না। যারা অপকর্ম করছে তাদের এসইআর কিন্তু নেত্রীর কাছে জমা হচ্ছে। মনোনয়ন চাইবেন, শেখ হাসিনার কাছে যে হিসাব আছে...যারা অপকর্ম-গডফাদারগিরি করে, দলের দুর্নাম কামিয়েছেন আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন তারা কিছুতেই পাবেন না। এটা নেত্রীর পরিষ্কার নির্দেশ। খারাপ আছেন, ভালো হয়ে যান। শুধরে যান। মাঝে মাঝে কলহ করতে গিয়ে এমন এমন কথা মুখ দিয়ে বের হয়, আওয়ামী লীগ করে এ ধরনের কথা যারা বলে তাদের আওয়ামী লীগ করার কোনো অধিকার নেই। সিট বাণিজ্য, ভর্তি বাণিজ্য, পলিটিক্যাল রুম; এসব যারা করে তাদের তালিকা তৈরি হচ্ছে। খবর আছে, ক্ষমা নেই।

অর্থনৈতিক মন্দা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কদের বলেন, আমাদের খাদ্য আছে। তেলের একটু সংকট আছে। আমরা সামলে উঠতে চেষ্টা করছি। কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। ব্রুনেইয়ের সঙ্গে জ্বালানির বিষয়ে চুক্তি হয়েছে। আরও অনেক দেশে নেত্রী যোগাযোগ করছেন। দেশকে স্বস্তিতে ফেরানোর জন্য সব চেষ্টা চলছে। ইংল্যান্ডের মতো দেশে পাউন্ড দাঁড়াতে পারছে না ডলারের কাছাকাছি, আমরা কী করে দাঁড়াবো!

বিএনপির উদ্দেশে কাদের বলেন, ভারতে নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পরে বিএনপি ফুল নিয়ে দূতাবাসে গিয়েছিল, নরেন্দ্র মোদি তাদের ক্ষমতায় বসাবে। কোনো বিদেশি শক্তি কাউকে ক্ষমতায় বসাবে না। বাংলাদেশের জনগণই ক্ষমতায় বসাতে পারে। আমাদের নাকি ভয়ে মাথা খারাপ হয়ে গেছে। আমাদের লোকের ভয় দেখায়। গতকাল রাসেলের জন্মদিনে বনানীর দৃশ্য কি দেখেছেন? খালি নিজেদের মিটিং দেখেন। সেখানে ফুল দিতে কত হাজার তরুণ এসেছিল। ডিসেম্বর বিজয়ের মাস। ডিসেম্বর আমাদের মাস, আপনাদের নয়। মুক্তিযুদ্ধের মাস। ডিসেম্বরে বিজয়ের পতাকা হাতে লাখ লাখ লোক ঢাকার রাজপথে নামবে। খেলবেন আওয়ামী লীগের সঙ্গে, পারবেন না। আমি তো বলেছি, ১০ লাখ লোক নিয়ে বসতে চান? সেটা তো পারবেন না। আমরা যদি ৩০ লাখ নিয়ে বসি, এই নগরীর কী অবস্থা হবে! এমনিতে আপনারা যেখানেই মিটিং করে সেখানেই যানজট, সরকারকে দোষ দেন। যেখানেই মিটিং করেন, রাস্তা বন্ধ করে মিটিং করেন। তারা কি শান্তিতে রেখেছে বাংলার জনগণকে? ২০০১ সালের পুনরাবৃত্তি হবে না। ২০০১ সাল ভুলে যান।

Comments