বিএনপির সমাবেশ স্থানের ২ কিলোমিটারজুড়ে লোকে লোকারণ্য

খুলনা শিববাড়ি মোড় পার হলেই কানে ভেসে আসছে স্লোগানের শব্দ। মিছিল করতে করতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা এগিয়ে যাচ্ছেন সমাবেশস্থলের দিকে। গতকাল সন্ধ্যার পরপরই অনেকে সমাবেশস্থলে এসে পৌঁছেছেন।
খুলনা এখন মিছিলের নগরী। ছবি: হাবিবুর রহমান/স্টার

খুলনা শিববাড়ি মোড় পার হলেই কানে ভেসে আসছে স্লোগানের শব্দ। মিছিল করতে করতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা এগিয়ে যাচ্ছেন সমাবেশস্থলের দিকে। গতকাল সন্ধ্যার পরপরই অনেকে সমাবেশস্থলে এসে পৌঁছেছেন।

খুলনা নগরের ডাকবাংলো ও ফেরিঘাট মোড়ের মাঝামাঝি সোনালী ব্যাংক চত্বরে দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরু হবে।

খুলনা রেলস্টেশন, স্টেশন রোড, কেডি ঘোষ রোড, পিকচার প্যালেস মোড়, ডাকবাংলো মোড়, ফেরিঘাট মোড় লোকে লোকারণ্য। সোনালী ব্যাংক চত্বর থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে শিববাড়ি মোড় পর্যন্ত নেতা-কর্মীরা অবস্থান করছেন। রাত ১২টার আগেই পূর্ণ হয়ে গেছে বিএনপির সমাবেশস্থলের আশপাশের জায়গা।

চারিদিকে শুধু লোক আর লোক। কেউ বিশ্রাম নিচ্ছেন, কেউ কেউ স্লোগান দিচ্ছেন। আবার অনেকেই গোল হয়ে প্রতিবাদী সংগীত গাইছেন।

বেশিরভাগ নেতা-কর্মী ট্রেনে ও ট্রলারে করে আগের রাতেই সমাবেশস্থলে হাজির হন। অনেকে তাদের ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে এসেছেন। রাতে উপস্থিত নেতা-কর্মীরা সমাবেশ স্থলের রাস্তায় আর ফুটপাতে প্লাস্টিকের বস্তা-পাটি পেতে ঘুমিয়েছেন। কাউকে কাউকে দেখা গেছে খবরের কাগজ বিছিয়ে ঘুমাচ্ছেন।

সকালেও অনেকে সেখানে ঘুমিয়ে থাকতে দেখা গেছে। দলের বিভিন্ন নেতার পক্ষ থেকে সকালের নাস্তা দেওয়া হচ্ছে। খাবার ও পানীয় সরবরাহ করা হচ্ছে।

সকালে কথা হয় মিরাজুল শেখের সঙ্গে। তিনি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থেকে এসেছেন। গাড়ি বন্ধ থাকায় ট্রেনে এসেছেন। রাত ৯টা থেকে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ফেরিঘাট মোড়ের একটি ব্যাংকের নিচে অবস্থান নিয়েছেন।

খুলনা মহানগরীর ডাকবাংলা সোনালী ব্যাংক চত্বর এলাকায় অবস্থান নেওয়া বিএনপি নেতা-কর্মীদের অনেককে দেখা যায় চট, পাটি, সংবাদপত্র বিছিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছেন। ছবি: হাবিবুর রহমান/স্টার

তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আসার সময় একটু আশঙ্কা ছিল। কিন্তু এখানে পৌঁছানোর পর সেই ভয় আর নাই। রাজপথ এখন আমাদের দখলে।'

'কীভাবে যে সারারাত কেটে গেল আমরা বুঝিনি! আমাদের নেতারা রাতেও আমাদের সঙ্গে ছিলেন। আমাদের সাহস যোগাচ্ছেন তারা। কেউ কেউ ঘুমিয়েছেন। কিন্তু. এই পথে কি আর ঘুম হয়?' বলছিলেন তিনি।

খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সকালের মধ্যেই তিল ধারণের জায়গা নেই ডাকবাংলো ও এর আশেপাশের এলাকায়। কয়েক হাজার নেতা-কর্মী ইতোমধ্যে খুলনা নগরীর ডাকবাংলো মোড়, ফেরিঘাট মোড়, খুলনা রেলস্টেশনের আশেপাশে অবস্থান নিয়েছেন। রাতে নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে সমাবেশস্থলে থেকেছেন। কর্মসূচি শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করবেন।'

খুলনা এখন জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে বলে তিনি জানান।

Comments

The Daily Star  | English
Govt buckles up

Govt publishes preliminary list of those killed in July-August protests

The interim government today published a preliminary list of 726 people who died during the student-led mass protests in July and August.

42m ago