গুম-খুনের রাজনীতি বন্ধ করে সাধারণ মানুষের রাজনীতি চাই: আইভী

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, এখানে আসার পর দেখলাম, শুধু ভাই আর ভাইদের নামে স্লোগান। নেত্রীর নামে স্লোগান দিতে কাউকে দেখলাম না। যে না থাকলে এই বাংলাদেশ থাকবে না, এখানে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারবেন না, সেই নেত্রী আমাদের ভরসাস্থল। তার কথা বলুন। নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করার প্রয়োজন নেই।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। ছবি: স্টার

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, এখানে আসার পর দেখলাম, শুধু ভাই আর ভাইদের নামে স্লোগান। নেত্রীর নামে স্লোগান দিতে কাউকে দেখলাম না। যে না থাকলে এই বাংলাদেশ থাকবে না, এখানে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারবেন না, সেই নেত্রী আমাদের ভরসাস্থল। তার কথা বলুন। নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করার প্রয়োজন নেই।

আজ রোববার বিকেলে নগরীর ইসদাইরে ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে দীর্ঘ ২ যুগ পর অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

আইভী বলেন, 'শুধু বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার নামে স্লোগানে-স্লোগানে মুখরিত হতে হবে। এর বিকল্প নেই। ঐক্যবদ্ধ রাজনীতির বিকল্প নেই। নারায়ণগঞ্জে আমরা তাই চাই। গুম, খুনের রাজনীতি বন্ধ করে সাধারণ মানুষের রাজনীতি চাই।'

তিনি আরও বলেন, 'এই আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছিল নারায়ণগঞ্জে। এই নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের সূতিকাগার। এই নারায়ণগঞ্জ থেকে মিছিল না গেলে ঢাকা শহরে সংগ্রাম-আন্দোলন হয়নি। এই সংগ্রাম-আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রয়াত নেতা এ কে এম শামসুজ্জোহা, পৌরপিতা আলী আহাম্মদ চুনকা, আনসার আলী, মফিজুল ইসলাম ও নাজমা রহমান। তারা আজকে এই পৃথিবীতে নেই, কিন্তু আমরা উত্তরসূরিরা বেঁচে আছি।'

বিভেদের মাধ্যমে নয়, ঐক্যের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে গড়তে চান বলে জানান সিটি মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী।

তিনি নারায়ণগঞ্জে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে বলেন, 'আওয়ামী লীগের এই ক্রান্তিলগ্নে যখন দেশ-বিদেশে প্রচণ্ডভাবে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, তখন ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যের মাধ্যমে রাজনীতি করতে হবে। শুধু ভাইয়ের নামে স্লোগান নয়, শেখ হাসিনার নামে স্লোগান দিতে হবে।'

আইভী বলেন, 'জনগণের কাছে যেতে হবে। আওয়ামী লীগের সব কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু টানেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, সামাজিক সুরক্ষা ও মুক্তিযুদ্ধ ভাতাসহ এমন কোনো সেক্টর নেই, যেখানে কাজ করেননি। এসব কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে হবে।'

সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিকেল ৩টায় সম্মেলন উদ্বোধন করেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।

Comments