বিভাগীয় গণসমাবেশ: বিএনপি নেতাকর্মীতে ভরে গেছে রংপুরের কালেক্টরেট মাঠ

রাত পোহালেই রংপুরের কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ। বিএনপি নেতা-কর্মীরা ধর্মঘট উপেক্ষা করে একদিন আগে বিভাগের কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী জেলা থেকে ইতোমধ্যে সমাবেশস্থলে জড়ো হয়েছেন। আজ শুক্রবার সন্ধ্যার মধ্যে কালেক্টরেট মাঠটি বিএনপি নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে ভরে গেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যার মধ্যে কালেক্টরেট মাঠটি বিএনপি নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে ভরে যায়। ছবি: কংকন কর্মকার

রাত পোহালেই রংপুরের কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ। বিএনপি নেতা-কর্মীরা ধর্মঘট উপেক্ষা করে একদিন আগে বিভাগের কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী জেলা থেকে ইতোমধ্যে সমাবেশস্থলে জড়ো হয়েছেন। আজ শুক্রবার সন্ধ্যার মধ্যে কালেক্টরেট মাঠটি বিএনপি নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে ভরে গেছে।

কালেক্টরেট মাঠে থেকে থেকে চলছে বিএনপি নেতাকর্মীদের স্লোগান। পুরুষদের পাশাপাশি চলছে নারীদেরও মিছিল। মাঠের বিভিন্ন স্থানে তাঁবু বানানো হয়েছে। পলিথিন বিছিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে নেতা-কর্মীরা অবস্থান নিয়েছে। সেখানে চলছে আগামীকালের সমাবেশ নিয়ে আলোচনা।

সেখানে উপস্থিত বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানান, তারা রাতে এই মাঠেই থাকবেন।

ধর্মঘট উপেক্ষা করে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে জড়ো হয়েছেন। ছবি: মাসুম মোল্লা

বিএনপির রংপুর বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান হাবিব দুলু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত বুধবার থেকেই বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মীরা রংপুরে আসতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে রংপুরের সবকটি জেলা থেকে হাজারো নেতাকর্মী চলে এসেছেন।'

রংপুরের কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠটি মূলত রাধাবল্লভ এলাকাতে অবস্থিত। প্রায় ২৪০ মিটার লম্বা ও ১২৫ মিটার প্রস্থের এই মাঠটি মাঝারি উচ্চতার দেওয়াল দিয়ে ঘেরা। মাঠটিতে ৩ দিক দিয়ে প্রবেশপথ আছে। তাই নেতাকর্মীরা সহজেই মাঠে প্রবেশ ও বের হতে পারবেন।

মাঠের পশ্চিম পাশের মাঝখানে করা হয়েছে মঞ্চ। মঞ্চের  ২ পাশে করা হয়েছে বড় আকারের ছামিয়ানা। সেখানে আগত নেতাকর্মীরা বসতে পারবেন। পুরো মাঠটির বিভিন্ন জায়গায় টাঙানো হয়েছে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বড় আকারের ব্যানার।

মাঠে আসা নেতাকর্মীর অভিযোগ করেন, পথে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। তবে বেশিরভাগ কর্মী মোটরসাইকেলে এসেছেন বলে জানিয়েছেন।

জানা গেছে, রাতের মধ্যে দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়সহ বিভিন্ন জেলা থেকে আরও নেতাকর্মী মোটরসাইকেলে সমাবেশে আসবেন। এছাড়াও, অন্যান্য ব্যবস্থাতে আসছেন নেতাকর্মীরা।

দিনাজপুরের বিরল পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাইদুল ইসলাম বলেন, 'সকালে রওনা দিয়ে বিকেলে ৩টার দিকে ট্রেনে করে ছাত্রদলের শতাধিক নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে পৌঁছেছেন। রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতির ডাকা পরিবহন ধর্মঘট উপেক্ষা করে বিকল্প উপায়ে পায়ে হেঁটে, ট্রেনে, অটোরিকশায় যে যেভাবে পারছেন সমাবেশ যোগ দিচ্ছেন।'

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ থেকে আসা আব্দুল কাদের বলেন, 'বিএনপির এই সমাবেশ সফল করতে বুধবার রাতেই ৫০ জনের একটি দল এসে পৌঁছান। সমাবেশ শেষ করে আমরা ফিরব।'

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মোজাম্মেল হক জানান, ফুলবাড়ী থেকে ৫ হাজার নেতাকর্মী বিভিন্ন উপায়ে শুক্রবার দুপুরে সমাবেশের মাঠে এসে পৌঁছান। আরও নেতাকর্মী আসবেন।

রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান শামু বলেন, 'বুধবার রাত থেকেই নেতাকর্মীরা শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তারা মাঠে আসতে শুরু করেন। আজ রাতের মধ্যে কালেক্টরেট মাঠ পরিপূর্ণ হয়ে যাবে।'

শুক্রবার বিকেলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ সমাবেশস্থলে সংবাদ সম্মেলনে জানান, সরকার বিএনপির সমাবেশকে ভয় পেয়ে পরিবহন ধর্মঘট ডেকে সমাবেশ নষ্ট করতে চায়। কিন্তু, এতে জনগণের ভোগান্তি বাড়ছে।

তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে এই সমাবেশকে সফল করতে প্রতিটি জেলা উপজেলা ও ইউনিয়নে সভা-সমাবেশ করা হয়েছে। লিফলেট ও ব্যানার বিতরণ করা হয়েছে।

তিনি অভিযোগ করেন, পথে বিভিন্ন জায়গায় নেতাকর্মীদের পুলিশি হয়রানি শিকার হতে হচ্ছে।

Comments