সমাবেশে যেতে পথে পথে বাধার অভিযোগ পটুয়াখালীর বিএনপি নেতা-কর্মীর

পটুয়াখালী থেকে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। ছবি: স্টার

আগামীকাল শনিবার বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যেই পটুয়াখালী থেকে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বিএনপি নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, বাস বন্ধ থাকলেও তারা বিভিন্নভাবে বরিশালে সমাবেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। কিন্তু, পথে পথে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাদের বাধা দিচ্ছেন।

পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক স্নেহাংশু সরকার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পটুয়াখালী থেকে বিএনপি নেতা-কর্মীরা বরিশালে যেতে পথে পথে বাধার মুখে পড়ছেন। দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া গ্রাম থেকে ৫ শতাধিক লোক নিয়ে বরিশালের উদ্দেশ্যে ট্রলার ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা ওই ট্রলার যেতে বাধা দেয়। ট্রলারের মাঝিকে হুমকিও দেওয়া হয়েছে।'

বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন স্নেহাংশু সরকার।

পটুয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে একটি বাসযোগে আমরা পটুয়াখালী থেকে বৃহস্পতিবার রাতে বরিশালে যান। বাস থেকে নামার পরই সন্ত্রাসীরা ওই বাসে ভাঙচুর করে।'

'বিভিন্ন পথে পথে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের লোকজন বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলসহ আমাদের নেতা-কর্মীদের বরিশালে যেতে বাধা দিচ্ছেন', বলেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিএনপি নেতা-কর্মীদেরকে বরিশালে যেতে কোনো বাধা দেওয়া হচ্ছে না।'

সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে পটুয়খালী জেলা বাস মালিক সমিতি পটুয়াখালী-বরিশালসহ সব অভ্যন্তরীণ রুটে বাস চলাচলে ধর্মঘটের ডাক দেয়।

সমিতির সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন মৃধা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা স্বত্ত্বেও মহাসড়কগুলোতে থ্রি-হুইলারসহ নানা ধরনের অবৈধ যান চলাচল অব্যাহত রয়েছে। অবিলম্বে এসব অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে অনুরোধ করা হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। অথচ এসব অবৈধ যানবাহনের কারণে মহাসড়কগুলোতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এসব যান চলাচল বন্ধের দাবিতে আজ থেকে ধর্মঘট আহ্বান করা হয়েছে।'

ধর্মঘটের কারণে পটুয়াখালীর ৮টি অভ্যন্তরীণ সড়কসহ রাজধানী ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন স্থানের সঙ্গে সব ধরনের যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। সেই কারণে কুয়াকাটায় পর্যটকসহ সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। আজ সকাল ৮টার দিকে পকুয়াখালী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, বাস না পেয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন অনেকেই।

পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়াপুর গ্রামের জাকির হোসেন বলেন, 'আজ সকালে ঢাকা যাওয়ার জন্য পটুয়াখালী বাসস্ট্যান্ডে এসে দেখি বাস বন্ধ। তাই বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।'

একই উপজেলার মাদারবুনিয়া গ্রামের আব্দুস শাকুর জানান, জরুরি কাজে খুলনা যাওয়ার জন্য তিনি পটুয়াখালী এসে দেখেন বাস বন্ধ। তাই যেতে পারেননি।

Comments

The Daily Star  | English

Hasina’s final days before the fall

A desire to cling to power, intolerance for dissent and failure to see the writing on the wall were what eventually unravel Sheikh Hasina’s iron-fisted rule of 15 years.

5h ago